২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর ৮ম ব্যালন ডি’অর জয় অনেকাংশেই নিশ্চিত করে ফেলছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। তবে দীর্ঘ প্রায় ১১ মাসের অপেক্ষার পর কাঙ্ক্ষিত সোনালি বলটি এই ফুটবল জাদুকরের হাতে উঠেছে। এর মধ্য দিয়ে প্যারিসে ইতিহাস গড়া রাত কাটালেন মেসি।
প্রথমবারের মতো এই প্যারিসেই সমর্থকদের কাছ থেকে দুয়ো শুনেছিলেন পিএসজির সাবেক এ তারকা। এই প্যারিসেই ইউরোপ পর্ব শেষ করে আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছিলেন। সেই প্যারিসেই জমকালো এক রাতে নিজের অষ্টম ব্যালন ডি'অর জিতলেন মেসি। আগে থেকেই যে কীর্তিতে মেসি ছিলেন অনন্য, এবার সেটাকেই আরও অনেকখানি বাড়িয়ে নিলেন!
মেসির সঙ্গে এই পুরস্কার জয়ের লড়াইয়ে কেবল ছিলেন নরওয়ের স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড। মেসির ব্যালন ডি'অর পাওয়ায় ফিকে হয়ে গেছে স্বপ্নের মতো কাটানো তার মৌসুমটি। ট্রেবল জয়ের পাশাপাশি ইউরোপের গোল্ডেন বুটও ছিল তার ঝুলিতে। ২৩ বছর বয়সী এই গোল মেশিন গত মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৫৩ গোল করেছেন। কিন্তু এক বিশ্বকাপের কাছে যে সবকিছুই অর্থহীন! মেসি তো পিএসজিকে শিরোপা এনে দেয়ার পাশাপাশি আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন। জিতেছেন গোল্ডেন বল। ইন্টার মিয়ামির হয়েও দারুণ শুরু করেছেন। তাই তো ব্যালন ডি’অর জয় কেবল মেসিরই প্রাপ্য।
লিওনেল মেসি এর আগে ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯ ও ২০২১ সালে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন।