"ফ্রেঞ্চ কেউ ব্যালন ডি অর জিতলেই বিশ্বকাপ আসে আর্জেন্টিনার ঘরে?"
শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও, ইতিহাস কিন্তু বলছে ঠিক এমনই এক অদ্ভুত সমান্তরাল বাস্তবতা। আর সেটা মাথায় রেখে গত রাতে উসমান ডেম্বেলের প্রথম ব্যালন ডি অর জয়ের পর থেকেই আর্জেন্টাইন শিবিরে যেন হালকা আত্মতুষ্টির হাওয়া বইছে।
ইতিহাসে ফিরে যাওয়া যাক
১৯৮৫:
ব্যালন ডি অর জেতেন মিশেল প্লাতিনি। পরের বছর, ১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা ম্যাজিকের হাত ধরে দ্বিতীয়বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা।
২০২২:
করিম বেনজেমা দুর্দান্ত এক মৌসুম শেষে ব্যালন ডি অর জেতেন। তার ঠিক পরেই কাতার বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির অবিশ্বাস্য নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা জিতে নেয় তৃতীয় শিরোপা।
২০২৫:
এই বছর ব্যালন ডি অর জিতেছেন ফ্রেঞ্চ উইঙ্গার উসমান ডেম্বেলে, পিএসজির হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করে এনে দিয়েছেন এক মৌসুমে ৫টি শিরোপা।
এবং সামনে রয়েছে ২০২৬ বিশ্বকাপ, যেখানে আবারও ফেভারিটদের তালিকায় রয়েছে আর্জেন্টিনা।
ইতিহাসের এই ‘ফ্রেঞ্চ ব্যালন ডি অর - আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ’ যোগসূত্র
এটা নিছক কাকতালীয় ঘটনা নাকি "ফুটবল ঈশ্বরের পরিকল্পনা"—সেটা বলা মুশকিল। তবে এটুকু নিশ্চিত, এই তথ্য শুনে রোমাঞ্চিত আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। বিশেষ করে এমন একটা সময়ে যখন মেসির বয়স ৩৮ ছুঁই ছুঁই, তখন ইতিহাস যেন বলছে, "এটাই হতে পারে মেসির শেষ বিশ্বকাপ এবং শেষ ট্রায়াম্ফ।"
তবে চ্যালেঞ্জ সহজ না
যদিও ইতিহাস বলছে এক কথা, কিন্তু মাঠের বাস্তবতা ভিন্ন।
২০২৬ বিশ্বকাপে ফেভারিট শুধু আর্জেন্টিনা নয়, ফ্রান্স, পর্তুগাল, ব্রাজিল, স্পেন — সব দলই রয়েছে চূড়ান্ত ফর্মে। তরুণ তারকা ও অভিজ্ঞদের মিশেলে গড়া দল নিয়ে তারাও চোখ রাখছে বিশ্বকাপ ট্রফিতে।
তাহলে কি ডেম্বেলের ব্যালন ডি অর আবারও এনে দেবে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ?
এই প্রশ্নের উত্তর দেবে ২০২৬ সালের আমেরিকায় অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ।
কিন্তু ফুটবল প্রেমীদের কাছে ইতিহাসের এমন মধুর মিল অবশ্যই এনে দিচ্ছে বাড়তি এক উত্তেজনা আর প্রতীক্ষা।
মূল পয়েন্টস:
- উসমান ডেম্বেলে ২০২৫ সালে জিতেছেন তার ক্যারিয়ারের প্রথম ব্যালন ডি অর
- এর আগে ১৯৮৫ (প্লাতিনি) ও ২০২২ (বেনজেমা) সালে ফ্রেঞ্চ ব্যালন ডি অর জয়ীদের পর বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা
- ২০২৬ বিশ্বকাপে আবারও ফেভারিট আলবিসেলেস্তেরা
- ইতিহাসের ধারাবাহিকতা কি এবারও বজায় থাকবে?
"ইতিহাস ফিরে আসছে? নাকি এবার ইতিহাস বদলাবে?"
এই প্রশ্ন নিয়েই শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ কাউন্টডাউন, যেখানে প্রতি মূহূর্তে গা ছমছমে এক উত্তেজনা!