প্রায় দুই দশকের টি২০ ক্রিকেট ইতিহাসে একমাত্র এশিয়ান ওপেনার হিসেবে ভারতের বিপক্ষে এক ইনিংসে ৫টি ছয় হাঁকানোর রেকর্ড গড়েছেন সাইফ হাসান। শুনে অবাক হলেও এটাই বাস্তব পরিসংখ্যান। যাকে কেউ দলে দেখতে চাননি, সেই সাইফই এখন বাংলাদেশের ফাইনালের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার প্রধান ভরসা। নিঃসন্দেহে এবারের আসরে তিনি খেলছেন ওয়ান ম্যান আর্মি হয়ে।
জাতীয় দলে সাদা বলের ক্রিকেটে সাইফকে খুব একটা সুযোগ দেয়া হয়নি। বরাবরই তাকে টেস্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে ট্যাগ করেছে বিসিবি। অথচ এশিয়া কাপে তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন, ভুল জায়গায় সীমাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল তাকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ভালো শুরু করলেও বল হাতে ছিলেন ব্যর্থ। অনেকে ভেবেছিলেন দল থেকে বাদ যাবেন। কিন্তু সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরি খেলে ম্যাচসেরা হয়ে বদলে দেন পুরো গল্প।
সেই ধারাবাহিকতায় ভারতের বিপক্ষে খেললেন আরও বড় ইনিংস। ৬৯ রানের ইনিংসে হাঁকালেন ৫টি ছয়—যা ইতিহাসে জায়গা করে দিয়েছে তাকে। এশিয়ার কোনো ওপেনার ভারতের বিপক্ষে এমন রেকর্ড কখনও গড়তে পারেননি। বাংলাদেশের হয়ে এদিন আর কেউ জ্বলে উঠতে না পারলেও, সাইফের ব্যাটে ম্যাচের উত্তেজনা টিকে ছিল শেষ অবধি। তবে বাকিদের ব্যর্থতায় ৪১ রানে হার মানতে হয় বাংলাদেশকে।
এশিয়া কাপে ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে আসা সাইফ এখন বাংলাদেশের মূল ভরসা। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি নামবেন দলের প্রধান ব্যাটার হয়ে। এ পর্যন্ত ৩ ম্যাচে ১৬০ রান করে তিনি আছেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে। শুধু তাই নয়, গড়েও সবার ওপরে আছেন এই ব্যাটার।
এক সময় যাকে শুধুই টেস্ট স্পেশালিস্ট ভেবে অবহেলা করা হয়েছিল, সেই সাইফই এখন প্রমাণ করছেন নিজের সত্যিকারের সামর্থ্য। প্রশ্ন উঠছে—এতদিন ধরে ভুলভাবে ট্যাগ লাগিয়ে তার ক্যারিয়ার আটকে দিয়েছিল কারা?