ক্রিকেট

এশিয়া কাপে শিরোপার স্বপ্নে উড়ছে বাংলাদেশ

Sports Reporter

Sports Reporter

রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
এশিয়া কাপে শিরোপার স্বপ্নে উড়ছে বাংলাদেশ

এশিয়া কাপে তিনবার ফাইনাল খেলেও শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি বাংলাদেশের। তবে এবার যেন চতুর্থ চেষ্টায় প্রথমবারের মতো ট্রফি জয়ের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত টাইগাররা। বড় টুর্নামেন্টে এবার বাংলাদেশের স্বপ্নটাও বড়, আর তার পেছনে আছে সাম্প্রতিক দুর্দান্ত ফর্ম ও প্রতিপক্ষদের অস্থির পারফর্ম্যান্স।
২০২৫ সালে টি২০ ফরম্যাটে একের পর এক সাফল্য এসেছে লিটন দাসের নেতৃত্বে। ঘরের মাঠে কিংবা বাইরে, সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে তাদের মাঠেই ২-১ ব্যবধানে হারানোর পর একই ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তানকে, এরপর নেদারল্যান্ডসকে উড়িয়ে দিয়েছে ২-০ ব্যবধানে। আত্মবিশ্বাসের চূড়ায় থাকা টাইগারদের সামনে তাই এবার আরও বড় মঞ্চে জয়ের হাতছানি।
অন্যদিকে প্রতিপক্ষরা যেন উল্টো স্রোতে ভাসছে। গ্রুপে বাংলাদেশের সাথে আছে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলছে প্রস্তুতি সিরিজ। যেখানে প্রথম ম্যাচে কষ্টার্জিত জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ৮০ রানে গুটিয়ে যায় তারা। আফগানিস্তানের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। আরব আমিরাতের বিপক্ষে তারা হেরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল, কোনোমতে জয় তুলে নিতে হয়েছে। এসব দেখে স্পষ্ট, গ্রুপে ফেবারিট বাংলাদেশই।
গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। ১১ তারিখ হংকংয়ের বিপক্ষে, ১৩ তারিখ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবং ১৬ তারিখ আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানকে টপকে যাওয়া হবে সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। সফল হলে জায়গা হবে সুপার ফোরে, সেখানেই ধরা দেবে শিরোপার লড়াইয়ের বড় স্বপ্ন।
বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসের পেছনে দুটি বড় কারণ। প্রথমত, মুস্তাফিজুর রহমানের অজেয় রেকর্ড। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত সাতটি টি২০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি, আর সাতটিতেই জয় এসেছে দলের ঘরে। যদি এশিয়া কাপে এই রেকর্ড বজায় থাকে, তবে শিরোপা জয় হবে সময়ের অপেক্ষা। দ্বিতীয়ত, অধিনায়ক লিটন দাসের ছন্দ। ব্যাট হাতে দৃষ্টিনন্দন ইনিংসের পাশাপাশি মাঠে কৌশলগত সিদ্ধান্তেও তিনি দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন। বিশেষ করে মুস্তাফিজকে ব্যবহার করার তার কৌশল বদলে দিচ্ছে ম্যাচের ফল।
সব মিলিয়ে এবার এশিয়া কাপে বাংলাদেশের হাতে সব কিছুই অনুকূলে—ফিজের অজেয় ধারা, লিটনের ছন্দময় নেতৃত্ব আর প্রতিপক্ষদের অস্থিরতা। এর আগে ২০১২ সালে পাকিস্তানের কাছে এবং ২০১৬ ও ২০১৮ সালে ভারতের কাছে ফাইনালে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে এবার কি ইতিহাস বদলাবে? প্রথমবারের মতো ট্রফি কি উঠবে লাল-সবুজের হাতে? সময়ই দেবে তার উত্তর।