এশিয়া কাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে হংকং চায়নার বিপক্ষে দুর্দান্ত শুরু পেলেও, ম্যাচের শুরুতেই বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয় বাংলাদেশ। তবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এক মুহূর্তের জন্যও ছাড়েনি টাইগাররা— শেষ পর্যন্ত শৃঙ্খলিত বোলিং আর অসাধারণ ফিল্ডিংয়ে হংকংকে থামায় মাত্র ১৪৩ রানে।
প্রথম ওভারেই ‘আম্পায়ার্স কল’ বিতর্ক
ইনিংসের প্রথম ওভারেই নাটক। শেখ মাহাদীর করা তৃতীয় বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন জিসান আলি, বল লাগে সরাসরি প্যাডে। মাহাদী ও ফিল্ডারদের জোরালো আবেদনেও আম্পায়ার রোহান পান্ডে ছিলেন অনড়।
অধিনায়ক লিটন দাস রিভিউ নিলে দেখা যায়— বল ব্যাটে লাগেনি, ইমপ্যাক্ট ও পিচিং লাইন ঠিক ছিল, এবং বল সোজা লাগতো উইকেটে। কিন্তু জিসানের প্যাডের একাংশ অফ স্টাম্পের বাইরে থাকায় ‘আম্পায়ার্স কল’-এর সুবিধা পেয়ে যান তিনি।
বাংলাদেশ হারায় একটি সম্ভাব্য মূল্যবান উইকেট— যা হলে ম্যাচের রঙ বদলাত আরও আগেই। ক্রিকেটবিশ্বে ফের উঠেছে প্রশ্ন— 'এলবিডব্লিউ' নিয়ে এত কড়াকড়ি কাদের জন্য? ব্যাটিং দল না বোলিং দলের?' দ্বিতীয় ওভারেই সাড়া দেয় টাইগার বোলিং
যদিও আম্পায়ারের ভুলে শুরুটা হতাশাজনক ছিল, তবে ২য় ওভারেই সাড়া দেন তাসকিন আহমেদ। দুর্দান্ত লাইন-লেংথে আনশুমান রাথকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন।
পরে বাবর হায়াতকে সরাসরি বোল্ড করেন সাকিব আল হাসান, দুর্দান্ত একটি ডেলিভারিতে। পাওয়ারপ্লে শেষে হংকং চায়নার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৩৪ রান।মুস্তাফিজের ক্যাচে ম্যাচ ঘুরে যায়
১২তম ওভারে আসে ম্যাচের সবচেয়ে চমকপ্রদ মুহূর্ত। তানজিম সাকিবের বলে জোরালো শট খেলেন জিসান, বল যাচ্ছিল লং অনের দিকে। তখন উল্টো দিক থেকে দৌড়ে এসে মুস্তাফিজ লাফিয়ে তালুবন্দি করেন বল— প্রায় হাত ফসকে যাওয়া বল নিয়ন্ত্রণে আনেন মাটিতে গড়াগড়ি খেয়ে।
এক কথায়, বিশ্বমানের এক ক্যাচ। ফাস্ট বোলারদের জন্য এমন অ্যাথলেটিক ফিল্ডিং বিরল। অনেকে বলছেন, এটি মুস্তাফিজের ১০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সেরা ক্যাচ।
এই উইকেটেই ভাঙে হংকংয়ের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ, এবং ম্যাচ ফিরে পায় বাংলাদেশ।
সেরা বোলার সাকিব, পাশে ছিলেন তাসকিন ও রিশাদ
বোলিংয়ে দিনের সেরা ছিলেন সাকিব আল হাসান। ৪ ওভারে মাত্র ২১ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।
তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেনও নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
মুস্তাফিজ উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দেন মাত্র ২২ রান এবং ফিল্ডিংয়ে তার অবদান ছিল ম্যাচ টার্নার।