সব কিছু পরিবর্তন হয়ে গেলেও, এবি ডি ভিলিয়ারস সেই আগের মতই আছেন, তিনি এখনও এলিয়েন। তার কল্যানেই তো লিজেন্ডদের শিরোপা গিয়েছে সাউথ আফ্রিকার ঘরে। পাহাড় সম লক্ষ্য টপকে যেতে হয়নি কোন অসুবিধা, ভাগ্যিস এবি ছিলেন। ১৯৬ রানের লক্ষ্য মানেই ফাইনালে একপ্রকার মাউন্ট এভারেস্ট। তবে এবি ডি ভিলিয়ার্স যেন আবারও প্রমাণ করে দিলেন, তার ব্যাটের সামনে কোনো পাহাড়ই বেশিদিন দাঁড়াতে পারে না!
ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসের ফাইনালে পাকিস্তানের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬০ বলে অপরাজিত ১২০ রান করেন এই প্রোটিয়া গ্রেট। তার ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও ৭টি ছয়ের ঝড়। সেই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ জিতে নেয় ১৯ বল হাতে রেখেই! এর আগে শারজিল খানের ৭৬ রানে ভর করে পাকিস্তান তোলে ১৯৫ রান। তবে ডি ভিলিয়ার্সের ইনিংস একাই পাল্টে দেয় সবকিছু। টুর্নামেন্টে এটি ছিল তার তৃতীয় সেঞ্চুরি, ৬ ম্যাচে করেছেন ৪৩১ রান, গড় ১৪৩, স্ট্রাইক রেট ২২১!
এই পারফরম্যান্সে তিনি জিতে নিয়েছেন ম্যাচসেরা ও টুর্নামেন্টসেরা—দুই পুরস্কারই। ৪১ বছর বয়সেও এমন পারফর্মেন্স দেখিয়ে যেন ডি ভিলিয়ার্স বলেই দিলেন—তিনি শুধুই এক ক্রিকেটার নন, এক অপূর্ণ আক্ষেপের নাম! ক্রিকেট তাকে ভুলতে পারেনি, তিনিও ক্রিকেটকে ছাড়তে শেখেননি।