খেলা

পেরুর বিপক্ষে জয়ের দেখা পেল আর্জেন্টিনা

উপ-সম্পাদক

উপ-সম্পাদক

বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪
পেরুর বিপক্ষে জয়ের দেখা পেল আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনা পেরুর বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় তুলে নিয়ে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে। মঙ্গলবার রাতে এল বোম্বান্বেরা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের একমাত্র গোলই এনে দেয় আর্জেন্টিনার বিজয়।
প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা দলে একাধিক ইনজুরি সমস্যার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। লিওনেল স্কালোনির দল মাঝমাঠ এবং আক্রমণভাগে পূর্ণ শক্তি পেলেও প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স উপহার দিতে ব্যর্থ হয়। প্রথমার্ধে ৭৬ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখলেও গোলের সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হয় তারা।
২২ মিনিটে একমাত্র উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি হয়। লাউতারো মার্টিনেজের সঙ্গে বোঝাপড়ায় আতলেটিকো মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেজ বক্সের মধ্যে বল পেলেও তার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। প্রথমার্ধে গোটা ছয়টি শট নেয় আর্জেন্টিনা, যার মধ্যে একটিই ছিল অন-টার্গেট।
দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনা তাদের ছন্দ খুঁজে পায়। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে লিওনেল মেসির ক্রিয়েটিভ পাস ডি-বক্সের ভেতরে পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে ইনফর্ম স্ট্রাইকার লাউতারো মার্টিনেজ এক অসাধারণ চিপের মাধ্যমে হেড করে বল জালে জড়ান। এই একমাত্র গোলেই ম্যাচের ডেডলক ভাঙে এবং জয় নিশ্চিত হয়।
পেরুর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার আক্রমণাত্মক খেলার ধারা দ্বিতীয়ার্ধে আরও স্পষ্ট হয়। আর্জেন্টিনার ডিফেন্সও পুরো ম্যাচে স্থির এবং কার্যকর ছিল, প্রতিপক্ষকে কোনো উল্লেখযোগ্য আক্রমণ গড়ে তুলতে দেয়নি।
এই জয়ের ফলে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ১২ ম্যাচে ৮ জয় ও এক ড্রয়ে ২৫। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে শীর্ষস্থান আরও শক্তিশালী করেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এই ফর্ম ধরে রেখে আর্জেন্টিনা ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে সরাসরি কোয়ালিফাইয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ম্যাচ শেষে লিওনেল স্কালোনি দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন। ইনজুরি সমস্যা সত্ত্বেও দলের খেলার মান ধরে রাখায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণভাগের পারফরম্যান্স আরও ভালো ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ ম্যাচ আর্জেন্টিনার ২০২৪ সালের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। লাউতারো মার্টিনেজের ধারাবাহিকতা ও দলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দৃঢ়তা স্কালোনির পরিকল্পনাকে আরও ইতিবাচক করে তুলেছে।
এ জয়ের ফলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বাকি ম্যাচগুলোর জন্য আর্জেন্টিনা আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। দলের ইনজুরি সমস্যা কাটিয়ে উঠে তারা আরও শক্তিশালী দল নিয়ে মাঠে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে।