বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দলের জন্য সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভ্যালির মাঠটি যেন সৌভাগ্যের প্রতীক। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ মাত্র ১২৯ রান করে ২৭ রানে জয়ী হয়েছে। এ জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন ম্যাচসেরা শামীম হোসেন। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফিরে আত্মবিশ্বাসী পারফরম্যান্সে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন তিনি।
নাজমুল হোসেন শান্ত অনুপস্থিত থাকায় লিটন দাস দলের অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়েছেন। যদিও নিজে রানখরার মধ্যে রয়েছেন, তবু তার নেতৃত্বে দল ভালো করছে। ম্যাচ শেষে লিটন বলেন, "এরকম জয়ের আশায় ছিলাম আমরা। পুরো দেশের মানুষই খুশি।" তবে তার রান না পাওয়া নিয়ে চিন্তিত সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
জাতীয় দলে অনেকদিন পর ফিরে সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন শামীম হোসেন। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, "অনেকদিন পর জাতীয় দলে ফিরেছি। এর মধ্যে কাজ কম করিনি। আমি হলাম ফিনিশার। আমার কাজটা হলো মারা। উইকেটে নামলে আমি সেটাই মাথায় রাখি।" শামীমের এই মনোভাব তার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতার পরিচয় দেয়।
এই ম্যাচে তাওহিদ হৃদয় এবং পারভেজ হোসেনের মতো তরুণ খেলোয়াড়রাও নিজেদের জায়গা করে নিয়েছেন। সিনিয়র খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতিতেও দল দৃঢ় পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। বাংলাদেশের ফাস্ট বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং ফিল্ডারদের তৎপরতা জয় নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছে।
সেন্ট ভিনসেন্টের এই মাঠে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলে চারটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। মাঠটি যেন মিরপুরের উইকেটের প্রতিচ্ছবি। পিচের ধীর গতি এবং স্পিনারদের সহায়ক পরিবেশ বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ থেকে ফোন পেয়েছিলেন শামীমের স্ত্রী। সেই মুহূর্তেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শামীম জানান, "আমার বিশ্বাস ছিল আমি দলে ফিরব এবং সুযোগ পেলে কাজে লাগাব।" তার এই আত্মবিশ্বাসই দলকে জয়ের পথে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।
বাংলাদেশ দলের জন্য সেন্ট ভিনসেন্ট সফর ইতিবাচক হলেও আসন্ন ম্যাচগুলোতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। অধিনায়ক লিটনের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স উন্নত করা এবং তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ কাজে লাগানো নিশ্চিত করতে হবে।