চলমান সিরিজে লঙ্কানদের কাছে যেনো পাত্তাই পায়নি লাল সবুজের দামাল ছেলেরা।
প্রথম টেষ্টে নাজমুল হোসেন শান্তর দুই সেঞ্চুরির পরেও ড্র করতে হয় দলের। আর দ্বিতীয় টেষ্টে হেরেছে গো হারা।
ঘুরে দাড়ানোর গল্প বলা হয়েছে বহুবার। ওডিআই ফরমেটটাকেই তাই বানাতে চেয়েছিলো হাতিয়ার। কিন্তু বিভৎসতার চরম পর্যায়ে পৌছে টিম বাংলাদেশ যেনো পরাজয়ের গ্লানি নিয়েছে আরো আপন করেই।
তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ এর ব্যবধানে হারতে হয় মেহেদি হাসান মিরাজের দলকে।
স্বাগতিকদের উন্মাদের মতো উল্লাস, গ্যালারির বাইরে ভক্তদের মারামারি কিংবা টাইগার শোয়েবকে ব্যাঙ্গ করা। যেনো কোনো কিছু করতেই ছাড়েনি দ্বীপ রাষ্ট্রের মানুষ গুলো।
শ্রীলঙ্গার সৌন্দর্য যেনো গোলাপের সাথে তার কাটার মতোই। যেখানে সেখানে সাপের আতঙ্ক। এমনকি খেলার মাঠেও কখনো কখনো ঢুকে পড়েছে সাপ। যেনো বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা সিরিজের বিখ্যাত সেলিব্রেশন নাগিন ডান্স ছাড়া এই দুই দলের প্রতিদ্বন্দীতা অপূর্ন।
প্রতিদ্বন্দীতার প্রশ্ন উঠলে ব্যাপারটা আসলেই অপূর্ন। দুই টেষ্ট তিন ওডিআই আর তিন টি২০ ম্যাচের সিরিজে এখন পর্যন্ত একতর্ফা দাপট দেখিয়েছে কুশাল ম্যান্ডিস, পাথুম নিশাঙ্কারা।
যেনো পুরোপুরি ভিন্ন চিত্র বাংলাদেশের। যদিও লাস্ট ম্যাচটি জিতে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকবে লিটন দাসের এই দলটা।
বাকী একটি ম্যাচ। যা নির্ধারণ করে দেবে টি২০ সিরিজের ফলাফল। যেকোনা মূল্যে জিততেই চাইবে টাইগাররা।
তবে শেষ ম্যাচের একাদশ কিভাবে সাজাবে টিম টাইগার্স?
(এখানে কোচের কথাটা দিবেন, সে বলছে উইনিং কম্বিনেশন তো যেকেউ খেলাতে চায়)
যদিও কোচের কথায় মেলে রহস্যের ছাপ, তবে ম্যাচে জয় পেতে হলে শক্তিমত্তার পুরোটা অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে টাইগারদের।
একাদশে আসতে পারে পরিবর্তন।
ওপেনিংয়ে তানজিদ তামিমের সাথে পারভেজ হোসেন ইমন।
নাম্বার থ্রি পজিশনে ক্যাপটেন লিটন কুমার দাস এবং নাম্বার ফোর এ তাওহীদ হৃদয়।
নাম্বার ফাইভে আসতে পারে পরিবর্তন। বাদ পড়তে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজ। টি২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের মতো দলের জন্য নাম্বার ফাইভ খুবই গুরুত্বপূর্ন। যেখানে মিরাজের রয়েছে শর্টের সীমাবদ্ধতা। জাকের আলি অনিক হতে পারেন এই জায়গায় দারুণ ইফেক্টিভ। নাম্বার সিক্সে প্রতিপক্ষের বোলারদের শাসন করতে শামীম হোসেন পাটোয়ারীর যেনো বিকল্প এই মুহুর্তে বাংলাদেশ দলে নেই। গত ম্যাচেই সেটার প্রমাণ পেয়েছে টিম বাংলাদেশ।
এরপরে লেগ স্পিন অলরাউন্ডার রিশাত হোসেন হতে পারে বাজীর ঘোড়া। বল হাতে দারুন কার্যকরী। আর ব্যাট হাতে বিগ হিট খেলতে পটু এই অলরাউন্ডার তাই পুর্নশক্তির দলে জায়গা করে নেবেন এটা বলাই যায়।
নাম্বার এইটে পেইস বোলিং অলরাউন্ডার
মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের থাকাটা অনেকটা নিশ্চিত। একাদশে ফিরতে পারেন নাসুম আহমেদ।
শ্রীলঙ্কান টপ অর্ডার ডানহাতি + আজ যে মাঠে খেলা হবে বাহাতি স্পিনারদের রেকর্ড ভালো।আজ সবচেয়ে ইমপেক্টফুল পরিবর্তন হতে পারে মেহেদী মিরাজের জায়গায় নাসুম আহম্মেদকে খেলানো।
আর দুই পেইস স্পেশাল
১০) শরিফুল ইসলাম
১১) মোস্তাফিজুর রহমান।
তাদের একাদশে থাকার কারণ হয়তো বর্ণনা করার আর প্রয়োজন হবে না।
তবে সব শেষে লাল সবুজের ভক্তরা মুখিয়ে আছে অন্তত একটা সিরিজে জয়ের ট্রফি নিয়ে ঘরে ফিরুক লিটন মিরাজরা।
প্রশ্ন তবুও, শেষ ম্যাচটা জিতে ইজ্জত রক্ষা করতে পারবে তো টাইগাররা?