বিশ্ব ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর ক্লাব বিশ্বকাপ শেষ হলো নাটকীয় এক ফাইনালের মাধ্যমে। চেলসি তাদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিলো ফেভারিট প্যারিস সেন্ট জার্মেইনকে (পিএসজি)। কিন্তু শিরোপা জয়ের আনন্দের পাশাপাশি ম্যাচ শেষের দৃশ্য ফুটবলপ্রেমীদের হতাশ করেছে—কারণ এক উত্তপ্ত পরিস্থিতি, যা গড়ায় হাতাহাতি পর্যন্ত।
ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল টানটান উত্তেজনা। তবে ৩০ মিনিটের মধ্যেই দুই গোল করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন চেলসির উদীয়মান তারকা কোল পালমার। প্রথমার্ধের শেষের আগেই স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-০। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে পিএসজি চেষ্টা করেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
৮৫তম মিনিটে চেলসির ডিফেন্ডার মার্ক কুকুরেলার চুল টেনে ধরার কারণে সরাসরি লাল কার্ড পান পিএসজির পর্তুগিজ মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেস। এর দুই মিনিট পর রেফারির সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যে জড়িয়ে হলুদ কার্ড দেখেন উইঙ্গার উসমান দেম্বেলে।
ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের একপর্যায়ে গড়ায় হাতাহাতি। দেখা যায় পিএসজির গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা, চেলসির গোলদাতা ব্রাজিলিয়ান জোয়াও পেদ্রোকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। এই ঘটনার পরপরই দুই পক্ষের খেলোয়াড়দের মাঝে শুরু হয় হট্টগোল।
পিএসজির ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক মার্কুইনহোস এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেও ছিলেন শান্ত ও সংযত। অপরদিকে চেলসির মিডফিল্ডার ময়সেস কাইসেদো সামনে এগিয়ে গেলেও আর্জেন্টাইন সহ-অধিনায়ক এঞ্জো ফার্নান্দেজ তাকে শান্ত করেন।
দ্বিতীয় শিরোপা চেলসির
এমন নাটকীয় ম্যাচ শেষে দ্বিতীয়বারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলে চেলসি। অন্যদিকে পিএসজির জন্য এটি রয়ে গেল এক হতাশার ফাইনাল, যেখানে হার নয়—তাদের আচরণ নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে বেশি।