পাকিস্তান সফরে একটিও ম্যাচ জিততে না পারায় ভক্তদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। তবে তিনি আশাবাদী, দল ঘুরে দাঁড়াবে এবং শীঘ্রই জয় ফিরিয়ে আনবে।
রোববার (১ জুন) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৯৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিয়েও জয় অধরাই থেকে যায় বাংলাদেশের জন্য। পাকিস্তানের তরুণ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হারিসের সেঞ্চুরির ঝড়ে ১৬ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ ছিল ছন্নছাড়া। দ্বিতীয় ম্যাচে শরিফুল ইসলামের ইনজুরি এবং ব্যাটারদের দায়িত্বজ্ঞানহীন পারফরম্যান্স নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন লিটন।
তবে শেষ ম্যাচে ব্যাটিং নিয়ে খানিকটা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অধিনায়ক। তিনি বলেন, "অবশ্যই হতাশ। আমরা ভালো বোলিং করিনি। আগের দুই ম্যাচে ব্যাটিং ও ফিল্ডিংও ভালো ছিল না। তবে সম্ভবত এই ম্যাচে ব্যাটিং খুব ভালো হয়েছে।"
লিটন মনে করেন, প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের শক্তি-দুর্বলতা বুঝে বোলিং করার কৌশল গড়ে তোলার দিকেই আরও মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। "ভিন্ন ব্যাটসম্যানদের আলাদাভাবে সামলাতে জানতে হবে। একেকজনের শক্তি ও দুর্বলতা ভিন্ন। সেটা বুঝে বোলিং করতে হবে আমাদের।"
তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ দুর্দান্ত সূচনা পায়। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন (৩৪ বলে ৬৬) ও তানজিদ হাসান (৩২ বলে ৪২) গড়েন ১১০ রানের ওপেনিং জুটি—পাকিস্তানে সফরকারী কোনো দলের এটি ছিল প্রথম শতরানের পার্টনারশিপ।
তবে এরপর মিডল অর্ডারে গতি ধরে রাখা যায়নি। লিটন (১৮ বলে ২২) ও হৃদয় (১৮ বলে ২৫) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও শেষদিকে রান তুলতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ ৫৬ বলে আসে মাত্র ৮৬ রান।
শেষদিকে জাকের আলি ও তানজিম হাসানের দুটি ছক্কা বড় সংগ্রহে কিছুটা অবদান রাখলেও ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও দুঃখপ্রকাশ ম্যাচ শেষে লিটন বলেন,"ইমন ও তানজিদ খুব ভালো শুরু করেছে। শুধু তারা নয়, বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিয়ে খেলেছে।" তিনি আরও যোগ করেন, "দর্শকরা অসাধারণ ছিল। দুই দলকেই সমর্থন করেছে, দারুণভাবে উপভোগ করেছে খেলা।"
সবশেষে ভক্তদের উদ্দেশ্যে দুঃখ প্রকাশ করে লিটন বলেন, "বাংলাদেশি সমর্থকদের কাছে আমি সত্যিই দুঃখিত। আমরা কোনো ম্যাচ জিততে পারিনি। আশা করি, আমরা ঘুরে দাঁড়াব।"