রাজনীতি

ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিমের মায়ের চিকিৎসায় বিএনপি

উপ-সম্পাদক

উপ-সম্পাদক

সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪
ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিমের মায়ের চিকিৎসায় বিএনপি
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শহীদ ও চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরামের মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে বিএনপি। ওয়াসিম ২০২৪ সালের জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। তার মায়ের, বেগম জোসনা বেগমের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে বিএনপির পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তিনি কান ও গলার রোগে আক্রান্ত হয়ে গত রোববার (১৩ অক্টোবর) কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে আসেন, এবং বিএনপির সহযোগিতায় তার চিকিৎসা শুরু হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের নির্দেশে এই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের তত্ত্বাবধানে এবং রিহ্যাবিলিটেশন কমিটির আহ্বায়ক ডা. শাহ মুহম্মদ আমান উল্ল্যাহ ও সদস্য সচিব ডা. পারভেজ রেজা কাকনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। বেগম জোসনা বেগমের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডা. নুরুল করিম চৌধুরী। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার দায়িত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান এবং চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. ফারুক।
ওয়াসিম আকরাম ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়, তিনি চট্টগ্রাম মহানগরের মুরাদপুর এলাকায় অনুষ্ঠিত একটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। তিনি কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। তার মৃত্যুর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলে, জানা যায় যে তিনি কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
ওয়াসিমের এই অকাল মৃত্যু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তার মৃত্যু ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ক্ষোভ ও প্রতিবাদের সঞ্চার করে এবং ছাত্রসমাজে তাকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া হয়। তার পরিবার এই শোক কাটিয়ে উঠতে কঠিন সময় পার করছে, আর তাই বিএনপি তার মায়ের চিকিৎসায় সহায়তা করে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
জোসনা বেগমের এই চিকিৎসা সেবা তার পরিবারের জন্য একটি বড় সহায়তা হিসেবে এসেছে। বিএনপির এই উদ্যোগ তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং আন্দোলনে শহীদ হওয়া নেতাকর্মীদের পরিবারের প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। ছাত্রদলের নেতারা জানান, এই চিকিৎসা সেবা শহীদ ওয়াসিমের পরিবারের প্রতি তাদের দায়িত্বের অংশ এবং তারা সব সময় শহীদের পরিবারের পাশে থাকবে।
এই ঘটনা ওয়াসিমের আত্মত্যাগের গুরুত্ব এবং ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে তার অবদানকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ওয়াসিম যে সাহসিকতা এবং দায়িত্ববোধ দেখিয়েছেন, তা ছাত্রসমাজ এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।











4o