রাজনীতি

জামায়াত আমিরের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

উপ-সম্পাদক

উপ-সম্পাদক

সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪
জামায়াত আমিরের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসনের একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মগবাজারস্থ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বৈঠক শেষে জামায়াত আমির দলের কার্যালয়ের নিচতলায় একটি ব্রিফিংও করবেন বলে জানা গেছে।
এই বৈঠকটি জামায়াতে ইসলামী ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে জামায়াতের অবস্থান ও ভাবমূর্তি তুলে ধরার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে জামায়াতের এই বৈঠক দলটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টার অংশ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে, ১১ অক্টোবর চীনের অ্যাম্বাসেডর মি. ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল মতবিনিময় করেন। চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়। জামায়াতের পক্ষ থেকে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহানের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল। মতবিনিময়ের সময় চীনা দূত ইয়াও ওয়েন বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে সমর্থন ও সহযোগিতা করার বিষয়ে দৃঢ় আশ্বাস প্রদান করেন।
বৈঠকে চীনের অ্যাম্বাসেডর জানান যে, তাদের সরকার বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অব্যাহতভাবে কাজ করতে চায়। জামায়াতের পক্ষ থেকে চীনের এই সহযোগিতার প্রশংসা করা হয় এবং আরও সহযোগিতার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। চীনা দূত এই সম্পর্ক আরও গভীর করার আশ্বাস দেন এবং সম্ভাব্য সকল ধরনের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
চীনের সঙ্গে এই বৈঠকের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী আরও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করতে আগ্রহী। দলের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, বৃহৎ রাষ্ট্র হিসেবে চীনের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জামায়াতের এ ধরনের কূটনৈতিক পদক্ষেপ তাদের আন্তর্জাতিক প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বৈঠকটি দলটির ভবিষ্যৎ আন্তর্জাতিক কর্মসূচি এবং সম্পর্ক বৃদ্ধির দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে।
এই সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জামায়াতের যোগাযোগের প্রচেষ্টা দলটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে দলীয় নেতারা আশা করছেন।