বহুল আলোচিত ইসলামী বক্তা ডা. জাকির নায়েক তিন দশক পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান সফরে গেছেন। তিনি এক মাসের দীর্ঘ এই সফরে পাকিস্তানের বিভিন্ন বিখ্যাত শহরে বক্তৃতা দেবেন। তার সফরের অংশ হিসেবে তিনি করাচি, লাহোর এবং ইসলামাবাদে বক্তব্য রাখবেন। ১৯৯২ সালে তিনি প্রথমবার পাকিস্তান সফর করেছিলেন, যখন তিনি লাহোরে প্রখ্যাত ইসলামিক পণ্ডিত ড. ইসরার আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
জাকির নায়েক একজন ভারতীয় নাগরিক হলেও বর্তমানে মালয়েশিয়াতে বসবাস করছেন। ভারতে তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে উসকানি দেয়ার অভিযোগও তুলেছে ভারত সরকার, যার কারণে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। পাকিস্তান সফরের সময় তাকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সহযোগী রানা মাশহুদ ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।
ডা. জাকির নায়েক তার সফরের শুরুতে করাচিতে ৫ অক্টোবর একটি জনসমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। এরপর তিনি ১২ অক্টোবর লাহোর এবং ১৯ অক্টোবর ইসলামাবাদে বক্তৃতা করবেন। এছাড়া তার সফরকালে পাকিস্তানের উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, এই সফরটি পাক সরকারের আমন্ত্রণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং পুরো সফরকালে তাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়া হবে।
জাকির নায়েকের এই সফর ইসলামিক বক্তৃতার জন্য পরিচিত হলেও তা নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। ভারতীয় সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্কের জটিলতা এবং ধর্মীয় বিতর্কের কারণে এই সফর বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। পাকিস্তানের ইসলামিক মহল ও সরকার জাকির নায়েকের এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছে এবং তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে অনেকের মধ্যে আগ্রহও দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, জাকির নায়েক তার বিভিন্ন বক্তৃতায় ইসলামের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তার বক্তব্যগুলোতে ইসলামের শিক্ষা এবং ইসলামের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবেন, যা পাকিস্তানে তার অনুসারীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে।
এই সফরটি তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে ধরা হচ্ছে, কারণ এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় সফর নয়, বরং পাকিস্তানের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক মহলে তার প্রভাব আরও সুসংহত করতে সাহায্য করবে।