আন্তর্জাতিক

‘প্রি-বুক’ না করলে এয়ার ইন্ডিয়ায় পাওয়া যাবে না হালাল খাবার

উপ-সম্পাদক

উপ-সম্পাদক

বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪
‘প্রি-বুক’ না করলে এয়ার ইন্ডিয়ায় পাওয়া যাবে না হালাল খাবার
ভারতের বৃহৎ বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া সম্প্রতি তাদের খাবার সরবরাহে একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীরা যদি হালাল খাবার পেতে চান, তবে ফ্লাইটের টিকিট বুকিংয়ের সময় খাবারটি প্রি-বুক করতে হবে। অর্থাৎ, স্বাভাবিক সার্ভিসে আর হালাল খাবারের ব্যবস্থা থাকবে না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এয়ার ইন্ডিয়া বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে খাদ্য সরবরাহের পরিবর্তে একটি অভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে।
বিগত সময়ে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটে ‘হিন্দু মিল’ ও ‘মুসলিম মিল’ নামে দুটি আলাদা খাবারের মেন্যু ছিল। এই বিভাজন মূলত যাত্রীদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে সম্মান জানিয়ে তৈরি করা হলেও কিছু মানুষের মতে এই ব্যবস্থাটি বিভেদমূলক ছিল। ‘হিন্দু মিল’-এ গরু বা শূকরের মাংস দেওয়া হত না, যখন ‘মুসলিম মিল’ হালাল মাংস এবং ইসলামিক আইনানুসারে প্রস্তুত করা খাবার সরবরাহ করত। তবে এয়ার ইন্ডিয়া বর্তমানে ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে এই বিভাজন থেকে সরে আসছে এবং সবাইকে সমানভাবে খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার নতুন ব্যবস্থাপনায়, যাত্রীরা যদি বিশেষ খাবার যেমন হালাল খাবার পেতে চান, তাহলে তাদের ফ্লাইটের আগে তা অনলাইনে প্রি-বুক করতে হবে। এয়ার ইন্ডিয়ার ঘোষণায় বলা হয়েছে, প্রি-বুককৃত হালাল খাবারে এমওএমএল (মুসলিম মিল) নামে একটি বিশেষ স্টিকার থাকবে, যা খাবারের হালাল বৈশিষ্ট্যের নিশ্চয়তা দেবে। এতে মুসলিম যাত্রীরা চাইলে তাদের খাদ্য উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন।
এয়ার ইন্ডিয়ার এই পদক্ষেপ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতি সম্মান দেখানোর পাশাপাশি যাত্রীদের মধ্যে সমতার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। এর ফলে যাত্রীদের জন্য একই ধরনের নন-হালাল আমিষাশী খাবার সরবরাহ করা হবে এবং কেউ যদি নির্দিষ্ট ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক চাহিদা পূরণে আলাদা খাবার চান, তবে সেটি আগাম অনুরোধের মাধ্যমে পাবেন। এয়ার ইন্ডিয়ার মতে, এই পদক্ষেপটি গ্রহণ করা হয়েছে যাত্রীদের খাবারের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখেই।
এই নতুন নীতিমালা কার্যকর করার মাধ্যমে এয়ার ইন্ডিয়া আশা করছে যে এটি যাত্রীদের সন্তুষ্টি বৃদ্ধি করতে এবং বিভিন্ন ধর্মের যাত্রীদের মধ্যে ঐক্য ও সমতার পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করবে।