এভিয়েশন

পাইলটবিহীন হেলিকপ্টার আনছে চীন!

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২
পাইলটবিহীন হেলিকপ্টার আনছে চীন!

পাইলট বিহীন হেলিকপ্টার তৈরি করেছে চীন। ড্রোনের মতো একে দূর হতে পরিচালনা করা যাবে অতি সহজেই। 

AR500C নামক মনুষ্যহীন হেলিকপ্টারটি তুলনামূলকভাবে একটু বেশি ওপর দিয়ে উড়তে সক্ষম। ভূ পৃষ্ঠ হতে ৫০০০ মিটার উচ্চতা থেকেও সফলভাবে অবতরন করতে সক্ষম এটি। 

সর্বোচ্চ উড়তে পারে ৬৭০০ মিটার উচ্চতায়। এর সর্বোচ্চ গতি হবে প্রতি ঘন্টায় ১৭০ কি.মি। একবার চার্জ দিলে একনাগাড়ে পাঁচ ঘন্টা চলবে। 

এতে আছে অত্যাধুনিক ক্যামেরা। যা মাটিতে অবস্থানরত যে কারো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে সক্ষম।
এই হেলিকপ্টারটি মূলত জাহাজ থেকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। 

এটি দ্বারা বৈদ্যুতিক আক্রমন, লক্ষ্য নির্দিষ্টকরণ, ভারী যানবাহন উত্তোলন, সংকেত প্রদান, গুরুত্বপূর্ণ ছবি-ভিডিও যাচাই বাছাইকরনের মতো বহুমাত্রিক কাজ করা সম্ভব। 

এতে আছে বিশেষ সেন্সর। আছে ককপিট, স্পাই ক্যামেরা, লেজার, জিপিএস, সেন্সর ও লাইটিং সেন্সর। যা পথ দেখিয়ে সঠিকভাবে চলতে সাহায্য করে। 

Aviation Industry Corporation of China নামক একটি চীনা প্রতিষ্ঠান অত্যাধুনিক এই হেলিকপ্টারটি প্রস্তুত করেছে।

একাত্তর বছরের পুরনো এই সংস্থাটির নতুন চমক এই মানুষবিহীন হেলিকপ্টার, যা যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। 

প্রস্তুতকারক কোম্পানিটির জিয়াংজি প্রদেশের পইয়াং নামক স্থানে একটি পরীক্ষামূলক গবেষণাগার আছে। 

সেখানে তারা সম্প্রতি হেলিকপ্টারটির উপর পরীক্ষা চালায় এবং এটি উড্ডয়ন এবং অবতরণে সন্তুষ্টজনক ফলাফল দেয়। 

যদি পুরোপুরি ব্যবহার উপযোগী হয় তবে এটি হবে যুদ্ধক্ষেত্রে কাজে লাগানোর মতো আরো ভয়ঙ্কর উপযোগীতা সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র।

AR500C প্রথম আকাশে উড্ডয়ন করে ২০২০ সালের মে মাসে এবং প্রায় বিশ মিনিট ধরে এটি আকাশে অবস্থান করতে সক্ষম হয়। 

সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় মানবহীন এ হেলিকপ্টারের ব্যাপারে জানান চীনের এক সামরিক বিমান গবেষক।

তিনি বলেন, এআর-৫০০সি হেলিকপ্টারটির সফল পরীক্ষা করা হয়েছে।

তাইওয়ানের চারপাশে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করছে চীনের সেনাবাহিনী। ড্রোনের মতো দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হেলিকপ্টারটি যেকোনো সময় ব্যবহার করা হতে পারে।

মূলত তাইওয়ানকে দখল করতে বেইজিং উন্নততর প্রযুক্তির ব্যবহার করতে চলেছে। সামরিক মহড়ার নাম করে তাইওয়ানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বেশ জোরেশোরে চলছে। 

চীনের দাবি তাইওয়ানে শুধু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা যথেষ্ট না। তাই এবার নিজেদের বহুল আলোচিত মানবহীন হেলিকপ্টারটিকেও কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছে বেইজিং।

হেলিকপ্টারটি পুরোপুরি কার্যকর হলে যুদ্ধক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর কিছু ক্ষমতা নিয়ে এর যাত্রা শুরু হবে। 

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের পর চীনের সামরিক মহড়াকে কেন্দ্র করে তাইওয়ান প্রণালিতে উত্তেজনা বাড়ছে। 

দেশটির চারপাশে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া চালাচ্ছে বেইজিং। ছোড়া হচ্ছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। 

বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হচ্ছে। ১৯৯৬ সালের পর এমন ঘটনা এবারই প্রথম। 

চীন বলছে, নিজেদের সার্বভৌমত্ব এবং এলাকাগত অখণ্ডতা বজায় রাখতে এ মহড়া চালানো হচ্ছে।

তাইওয়ানে পেলোসির ভ্রমণকে চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভয়াবহ, বেপরোয়া এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন উসকানি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বেইজিং। 

মার্কিন স্পিকারের তাইওয়ান সফরের জেরে একেবারে তলানিতে ঠেকেছে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক।