এভিয়েশন

ওসমানী বিমানবন্দরে আবর্জনার ট্রলিতে মিলল ১ কোটি টাকার স্বর্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২
ওসমানী বিমানবন্দরে আবর্জনার ট্রলিতে মিলল ১ কোটি টাকার স্বর্ণ

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবর্জনার ট্রলিতে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণ পাওয়া গেছে।


২৬ জুলাই সকাল ৮ টায় কাতারের দোহা থেকে আসা ফ্লাইটটির আবর্জনার ট্রলি স্ক্যান করে পরিত্যক্ত অবস্থায় এসব স্বর্ণ পাওয়া যায়।


এয়ারপোর্ট কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১ কেজি ১৬ গ্রাম ওজনের সর্বমোট ১০টি স্বর্ণবার উদ্ধার করেছে তারা। যার বর্তমান বাজার মূল্য হবে আনুমানিক ১ কোটি টাকার মতো।


কতৃপক্ষ আরো জানায়, এ বিমানের ফ্লাইটটিতে স্বর্ণের চালান আসছে বলে তাদের কাছে আগে থেকেই তথ্য ছিল। যে কারণে বেশ সতর্ক অবস্থান নেয় কাস্টমস। 


কিন্তু ফ্লাইট আসার পর স্বর্ণ মিলছিল না। বিমান অবতরণের পরই তারা সব যাত্রীদের তল্লাশি করে। তবে কোন যাত্রীর কাছে এ ধরনের কিছু পাওয়া যায় নি। 


সব যাত্রীরা বিমান থেকে বের হয়ে গেলেও সোনার সন্ধান না মেলায় সন্দেহ জাগে কর্মকর্তাদের মনে।পরবর্তীতে তারা আবর্জনার ট্রলি স্ক্যান করে।


 আর সেখানেই স্বর্ণের ১০টি বার পাওয়া যায়।

তবে স্বর্ণ কে বা কারা নিয়ে এসেছন তা জানতে পারেননি কর্মকর্তারা। ফলে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয় নি।


তবে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছে কাস্টমস অফিস। এ ঘটনায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তারা।


সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিনে দিনে যেন সোনা চোরাকারবারিদের রুটে পরিণত হচ্ছে। প্রায়ই এ বিমানবন্দর থেকে স্বর্ণ উদ্ধারের খবর উঠে আসে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে।


বিমানবন্দরের শৌচাগার থেকে শুরু করে ময়লার ঝুড়ি, কার্গো গুদাম, আবর্জনার স্তূপ বাদ যায় না কিছুই। এসব স্থান থেকে বিভিন্ন সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় মিলেছে স্বর্ণসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র।


জুসার মেশিন, চিকিৎসা সেবার যন্ত্র নেব্যুলাইজারসহ নানা জিনিসপত্রের ভেতরে ঢুকিয়ে নতুন কৌশল অবলম্বন করে চোরাকারবারিরা দেশে আনছে সোনা। 


মূলত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যাত্রীদের কাছ থেকেই অধিকাংশ সোনা জব্দ করা হয়।


এ বিমানবন্দরটিতে গত ৮ বছরে সর্বমোট ১১৩ কেজি সোনা আটক করা হয়। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৭৭ কোটি টাকার বেশি।


এছাড়া এ কাজের সাথে জড়িত অনেককেই আটক করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত সোনা চোরাচালানের গডফাদাররা কেউ ধরা পড়ে নি।


যারা আটক হচ্ছে তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করে নিয়ে চুপ হয়ে যায়। তাই আটক করা হলেও থামছে না চোরাচালান। 


এর আগে, চলতি বছরের ২রা জুন সকালে আবুধাবি থেকে ছেড়ে আসা বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে এক কেজি ১৬০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ জব্দ করা হয়।


একই ভাবে গত ২৭ মে সকাল সাতটায় দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটের যাত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণ জব্দ করা হয়।


এ নিয়ে চলতি বছরের মে, জুন ও জুলাই এই তিন মাসে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনটি স্বর্ণের চোরাচালান জব্দ করা হয়েছে।


যদিও আন্তর্জাতিক এ বিমানবন্দরে চোরাচালানের ঝুঁকি কমাতে সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছে কাস্টমস বিভাগ।