বয়স পেরিয়েছে ৩৮, তবুও আলো নিভে যায়নি লিওনেল মেসির। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচ খেলে অনেকেই ধরে নিয়েছেন—এটাই হয়তো তার শেষ ম্যাচ। কিন্তু ক্যারিয়ারের ক্রান্তিলগ্নেও গোল করার অভ্যাস ভোলেননি আর্জেন্টাইন ক্ষুদে জাদুকর। এখনও টপ স্কোরারের তালিকায় সবার ওপরে তিনি, ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই তারকা। সবচেয়ে বড় বিস্ময়—একটিও পেনাল্টি ছাড়া ওপেন প্লে থেকে করা গোলেই শীর্ষে উঠে এসেছেন মেসি।
এবারের লাতিন আমেরিকা থেকে সবার আগে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। কেন তারা বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, কেনই বা র্যাংকিংয়ে এক নম্বরে—তা প্রমাণ করেছে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লিওনেল মেসি, যার হাত ধরেই আমেরিকা বিশ্বকাপের জন্য লাতিন অঞ্চলের শীর্ষ দল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা।
গোলদাতাদের তালিকায় মেসির অবস্থান এক নাম্বারে। মোট ১৭ ম্যাচে হলেও তিনি খেলেছেন মাত্র ১২টিতে, আর তাতেই করেছেন ৮ গোল। লাতিন অঞ্চলে গোল করা সহজ কাজ নয়। কঠিন প্রতিপক্ষ, প্রতিকূল আবহাওয়া, বাজে মাঠ কিংবা লা পাজের উচ্চভূমিতে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া—সবকিছু পেরিয়েও মেসি নিজেকে রেখেছেন সবার ওপরে।
শুধু গোলই নয়, গোলে অবদান রাখার দিক থেকেও এগিয়ে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ৩ অ্যাসিস্টসহ মোট ১১ গোলে সরাসরি সম্পৃক্ত তিনি, যা এই আসরে সর্বাধিক। ফুটমোব রেটিংয়েও শীর্ষে আছেন মেসি—৭.৮৯ গড় রেটিং নিয়ে। তার প্রতি ৯০ মিনিটে গড় গোল ০.৭৬, যা তার ধারাবাহিকতাকে আরও স্পষ্ট করে।
তবে পিছিয়ে নেই কলম্বিয়ার লুইস দিয়াজ। সদ্য বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেওয়া এই তারকা এখন পর্যন্ত করেছেন ৭ গোল। শেষ ম্যাচে গোল পেলে টপকে যেতে পারেন মেসিকে। আশ্চর্যজনকভাবে শীর্ষ ৬ গোলদাতার তালিকায় নেই কোনো ব্রাজিলিয়ান। রাফিনহা ৫ গোল করে আছেন ৭ নম্বরে।