ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে নতুন এক তারকার জন্ম হয়েছে। চেলসির নতুন ফরওয়ার্ড জোয়াও পেদ্রো এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। মাত্র তিন মাস হলো ব্লুজদের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন, এর মধ্যেই যেন রূপকথার গল্প লিখে চলেছেন।
চেলসিতে যোগ দিয়েই পেদ্রো জিতেছেন ক্লাব বিশ্বকাপ। তিন ম্যাচে তিন গোল করেছেন তিনি, যার একটি এসেছে ফাইনালে পিএসজির বিপক্ষে। নতুন ক্লাবের হয়ে প্রথম টুর্নামেন্টেই শিরোপা জয়ের আনন্দ পেয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। এরপর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও দারুণ ছন্দে রয়েছেন। সিজনের শুরুতেই দুই গোল ও দুইটি অ্যাসিস্ট করে টপ স্কোরারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে প্রথম পাঁচ ম্যাচেই সাত গোল কন্ট্রিবিউশন—চেলসির ইতিহাসে এমন সূচনা খুব কম খেলোয়াড়ই করেছেন।
তবে জোয়াও পেদ্রোর সাফল্যের পেছনে লুকিয়ে আছে সংগ্রামের গল্প। ছোটবেলায় তার বাবা জড়িয়ে পড়েন অপরাধে এবং জেলহাজতে যান। মা-ই একাই বড় করেছেন তাকে। সংসারের হাল ধরতেই ফুটবলে পা রাখেন পেদ্রো। ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সে প্রথম ব্রেক-থ্রু পান, এরপর খেলেন ব্রাইটনে। আর এবার ৫৫ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে চেলসিতে তাকে দলে ভেড়ায়। পারফরম্যান্সে কিন্তু তিনি প্রমাণ করছেন নিজের দাম আরও অনেক বেশি।
ফরোয়ার্ড হিসেবে পেদ্রোর বিশেষত্ব হলো বহুমুখিতা। তিনি শুধু গোল করাতেই নয়, সতীর্থদের সুযোগ তৈরি করতেও পারদর্শী। ড্রিবলিং, গতি, ফিজিক্যাল শক্তি এবং কী-পাস—সবকিছু মিলিয়ে তিনি এখন পূর্ণাঙ্গ আক্রমণভাগের তারকা।
চলতি মৌসুমের শুরুতেই দারুণ ছন্দে থাকায় ব্রাজিল জাতীয় দলের জন্যও তিনি হয়ে উঠতে পারেন বড় সম্পদ। সামনে বিশ্বকাপ, আর সেলেসাওরা পাচ্ছে এক দুর্দান্ত গোলস্কোরার। সব ঠিক থাকলে জোয়াও পেদ্রোই হতে পারেন ব্রাজিলের বাজির ঘোড়া।