রিয়াল মাদ্রিদে ভিনির আলো, চেলসিতে এঞ্জো-পেদ্রোর আধিপত্য
এম্বাপ্পের আগমনের পর অনেকেই ভেবেছিল ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের ক্যারিয়ার বুঝি শেষ হতে চলেছে। তবে ব্রাজিলিয়ান তারকা যেন আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন—প্রতিভা কখনও চাপা পড়ে থাকে না, যার আলো জ্বালানোর, সে জ্বালাবেই।
নতুন মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে শেষ ৯৯ মিনিটে সরাসরি তিনটি গোলে অবদান রেখেছেন ভিনি। শুধু তাই নয়, সর্বশেষ ম্যাচে মায়োর্কার বিপক্ষে পিছিয়ে পড়া দলকে ফিরিয়ে এনে দারুণ এক জয় উপহার দেন তিনি। তার পারফরম্যান্স যেন বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে—তিনি মাদ্রিদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ, এবং দলের সবচেয়ে ভরসাযোগ্য খেলোয়াড়দের একজন। যত বড় তারকাই আসুক না কেন, তার জায়গা দখল করার সাধ্য নেই কারও।
চেলসিতে ব্রাজিল-আর্জেন্টাইন আধিপত্য
অন্যদিকে ইংল্যান্ডের ক্লাব চেলসিতে এখন আধিপত্য দুই লাতিন তারকার হাতে। আর্জেন্টিনার এঞ্জো ফার্নান্দেজ ও ব্রাজিলের নতুন সেনসেশন জোয়াও পেদ্রো মিলে ছুটে চলেছেন ব্লুজদের এগিয়ে নিতে।
গত মৌসুমে এঞ্জো ফার্নান্দেজ চেলসিকে একটি ইউরোপিয়ান কাপ ও একটি ক্লাব বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন। নতুন মৌসুমেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন তিনি। তার সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছেন পেদ্রো, যিনি শুরুতেই নজর কেড়েছেন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে।
প্রিমিয়ার লিগে তিন ম্যাচ শেষে সবার উপরে আছে চেলসি। এঞ্জো ইতিমধ্যেই করেছেন একটি গোল ও একটি অ্যাসিস্ট, আর জোয়াও পেদ্রো করেছেন দুই গোল ও দুটি অ্যাসিস্ট। শুধু তাই নয়, ফুলহামের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে দুজনের পারফরম্যান্সেই জয় পায় ব্লুজরা।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে কর্নার থেকে গোল করে চেলসিকে এগিয়ে নেন জোয়াও পেদ্রো। তার সেই গোলে অ্যাসিস্ট করেন এঞ্জো ফার্নান্দেজ। এরপর ৫৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজেও স্কোরশিটে নাম তোলেন এঞ্জো। এটি ছিল লিগে তার দ্বিতীয় গোল। এদিকে এই বছর এখন পর্যন্ত ইপিএলে সবচেয়ে বেশি ১০টি অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানেই জয় পায় চেলসি।
নতুন কোচে উড়ছে রিয়াল মাদ্রিদ
অন্যদিকে লালিগায় দুর্দান্ত ফর্মে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। নতুন কোচের অধীনে প্রথম তিন ম্যাচেই তিন জয় তুলে নিয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে তারা।
ঘরের মাঠে মায়োর্কার বিপক্ষে অবশ্য শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল মাদ্রিদ। ১৮ মিনিটে মুরিকির গোলে এগিয়ে যায় মায়োর্কা। এর আগে এম্বাপ্পে গোল করলেও তা অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। তবে ৩৭ মিনিটে আর্দা গুলার এবং এক মিনিট পর ৩৮ মিনিটে ভিনিসিয়ুস গোল করলে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে গ্যালাক্টিকোসরা।