আগামী বিশ্বকাপের টিকিট অনেক আগেই নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। ফলে সামনের মাসে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো নিয়ে খুব একটা চাপ নেই পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। তবে এমন সময়ে কোচ কার্লো আনচেলত্তি এমন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা আবারও প্রমাণ করেছে—রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে তার সম্পর্ক অন্য রকম।
রিয়ালের খেলোয়াড়দের বিশ্রাম
বাছাইপর্বের জন্য ঘোষিত দলে রাখা হয়নি রিয়াল মাদ্রিদের কোনো ফুটবলারকে। আনচেলত্তি কেবল নিজের চাকরি কিংবা ব্রাজিল জাতীয় দলের কথা ভাবেননি, ভেবেছেন রিয়াল মাদ্রিদের কথাও। মৌসুমের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে খেলোয়াড়দের ফিট রাখা ক্লাবের জন্য সবচেয়ে জরুরি। তাই ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও এদার মিলিতাওকে স্কোয়াডে ডাকেননি তিনি। তাদের বিশ্রামের সুযোগ করে দিয়েছেন, যেন ক্লাবের হয়ে মাঠে নেমে সেরাটা দিতে পারেন।
অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে নিয়মিত খেলার সুযোগ না পাওয়ায় বাদ পড়েছেন এন্ড্রিক ও রদ্রিগোও। বেশিরভাগ সময় বেঞ্চেই কাটানোয় হারিয়েছেন ফর্মের ধারাবাহিকতা, ফলে জায়গা হয়নি জাতীয় দলেও।
নেইমারের ধাক্কা
দলের জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা অবশ্য নেইমারকে হারানো। চোট থেকে ফেরার সম্ভাবনা ছিল তার, তবে দল ঘোষণার আগের দিনই আবারও হালকা ইনজুরিতে পড়েন তিনি। যদিও চোট গুরুতর নয়, তবে কোচ আনচেলত্তি ঝুঁকি নিতে চাননি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন—
“নেইমার গত সপ্তাহে একটি হালকা চোট পেয়েছে। আমাদের সামনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তাই এমন খেলোয়াড় দরকার যারা শতভাগ ফিট। নেইমারের মান নিয়ে কারও সন্দেহ নেই, তবে আমরা তাকে সম্পূর্ণ ফিট অবস্থায় দেখতে চাই।”
অন্যদের সুযোগ, এডারসনের শেষ?
রিয়ালের খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিলেও দলে ডাকা হয়েছে বার্সেলোনার উইঙ্গার রাফিনহাকে। বিশ্রামের সুযোগ মেলেনি তার।
এদিকে ম্যানচেস্টার সিটির গোলকিপার এডারসন মোরায়েস বাদ পড়েছেন দল থেকে। ইউরোপে যেমন তার অধ্যায় শেষের পথে, তেমনি জাতীয় দলেও হয়তো ক্যারিয়ারের ইতি ঘটতে যাচ্ছে তার।
সব মিলিয়ে তেমন কোনো বড় চমক নেই আনচেলত্তির দলে।
সামনে দুটি ম্যাচ
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর চিলি এবং ১০ সেপ্টেম্বর বলিভিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল। এই দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত ২৫ সদস্যের স্কোয়াড এক নজরে—
গোলকিপার:
আলিসন বেকার, বেন্তো, হুগো সাউজা।
ডিফেন্স:
আলেক্সসান্দ্রো রিবেইরো, অ্যালেক্স সান্দ্রো, কাইও হেনরিক, ডগলাস সান্টোস, ফ্যাব্রিজিও, ব্রুনো, গ্যাব্রিয়েল মাগালহায়েস, মারকুইনোস, ভেন্দারসন, ওয়েসলি।
মাঝমাঠ:
আন্দ্রে সান্তোস, ব্রুনো গুইমারেস, ক্যাসেমিরো, জোয়েলিনটন, লুকাস পাকুয়েতা।
আক্রমণভাগ:
এস্তেভাও উইলিয়ান, গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি, জোয়াও পেদ্রো, কাইও জর্জ, লুইস হেনরিক, ম্যাথেউস কুনহা, রাফিনহা, রিচার্লিসন।