৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই — তারেকের অনশন নিয়ে ইসি সচিবের মন্তব্য

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের দাবিতে টানা ১২৩ ঘণ্টা ধরে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ‘আমজনতার দল’-এর সদস্যসচিব তারেক রহমান। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রধান ফটকের সামনে অনশনরত তার শারীরিক অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে গেলেও, তিনি দাবি থেকে সরছেন না।

রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে নির্বাচন ভবনের সামনে দেখা যায়, স্যালাইন হাতে চাদরে শুয়ে আছেন তারেক রহমান। কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছে তার। এসময় সাধারণ মানুষ ভিড় করেন কেউ সংহতি জানাতে, কেউবা কৌতূহল থেকে দেখতে।

দুর্বল কণ্ঠে তারেক রহমান বলেন, অবশ্যই আমি আমার সিদ্ধান্তে অনড় আছি। এটা চলবে, অবশ্যই চলবে। ওরা তিনটা উপজেলা কোথায় পেয়েছে? পরে সেটা ৩৩ কিভাবে হয়েছে? এটা আমি মানতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, কেউ এখন আর যোগাযোগ করছে না। সেদিন একজন উপসচিব এসেছিলেন, তারপর আর কেউ আসেননি। কোনো চিঠি বা বার্তাও দেয়নি। শরীরে অনেক ব্যথা করছে, কিন্তু আমি অনশন চালিয়ে যেতে চাই। অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে নিয়মের বাইরে গিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই।

রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই। আপনি আমাকে বলেন, ক্যান ইলেকশন কমিশন গো বিয়ন্ড দ্য রুলস? সো... ইউ গট মাই আনসার।

গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) তিনটি দলকে প্রাথমিক নিবন্ধনের অনুমোদন দেয় নির্বাচন কমিশন— জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) এবং বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি। এরপর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত নিবন্ধনের কথা জানানো হয়। 
তবে সেই তালিকায় ‘আমজনতার দল’-এর নাম না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সেদিন বিকেল থেকেই অনশন শুরু করেন তারেক রহমান, যা এখন টানা পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে।