আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, সোজা আঙুলে যদি ঘি না উঠে, তাহলে আঙুল বাঁকা করবো। কিন্তু ঘি আমাদের লাগবেই। সুতরাং যা বোঝাতে চাই, বুঝে নিন। নো হাঙ্কি পাঙ্কি, নির্বাচনের আগেই গণভোট লাগবেই।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর পল্টনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। পরে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও চলতি মাসেই গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে জামায়াতসহ আটটি রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
তাহের বলেন, আমরা আপনাদের চালাকি বুঝি। আপনারা চালাকি করলে আমরাও দাবি আদায়ের নতুন পথ খুঁজে নেবো। আমরা এখনো নিয়মতান্ত্রিক পথে আছি, কিন্তু প্রয়োজন হলে পরিস্থিতি বদলাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করেছিলাম, জুলাই-অগাস্টের রক্তই হবে শেষ রক্তদান। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানেই আবার রাজপথে আসতে হয়েছে। প্রয়োজনে রক্ত দেবো, প্রয়োজনে জীবন দেবো তবু জুলাই বিপ্লবকে ব্যর্থ হতে দেবো না।
গণভোটের ব্যয়ের প্রসঙ্গে ডা. তাহের বলেন, শুধু বলেন— গণভোটে নাকি অনেক টাকা লাগে। কিন্তু একদিনে যত চাঁদাবাজি হয়, তা দিয়েই একটা গণভোট দেওয়া যায়। চাইলে প্রতিদিন একটা করে গণভোটও দেওয়া সম্ভব। তাই যারা চাঁদাবাজিতে জড়িত, তারা যদি বন্ধ করে, তাহলে গণভোট আয়োজনের টাকার অভাব হবে না।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাননি বলে জানান তাহের। তিনি বলেন, আজকের কর্মসূচির পর আমি আবারও চেষ্টা করবো। উনাকে অনুরোধ করবো, বিএনপিও যেন আলোচনার পরিবেশ তৈরি করেন।
সমাবেশ শেষে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর নেতারা বলেন, নির্বাচনের আগে গণভোটই হবে জনগণের প্রকৃত মতামত যাচাইয়ের একমাত্র উপায়, এবং সরকার যদি সময়ক্ষেপণ করে, তাহলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে নামবেন।