আন্তর্জাতিক

নরেন্দ্র মোদি বনাম এরদোয়ান: ধর্ম ও ভূরাজনীতিতে দুই নেতা, এক সমান্তরাল পথ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫
নরেন্দ্র মোদি বনাম এরদোয়ান: ধর্ম ও ভূরাজনীতিতে দুই নেতা, এক সমান্তরাল পথ
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ সফল সময় পার করছেন। কুর্দি বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণ, সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতা, লিবিয়ায় তুরস্কপন্থী সরকারের শক্ত অবস্থান—সব মিলিয়ে তাঁর নেতৃত্বে তুরস্ক বিশ্ব রাজনীতিতে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। এমনকি পাকিস্তানও প্রকাশ্যে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য গত কিছু সপ্তাহ ছিল চ্যালেঞ্জে ভরা। পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনা, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দ্বিধান্বিত প্রতিক্রিয়া, এবং তুরস্কের নির্মিত ড্রোনের সম্ভাব্য ব্যবহারে ভারতীয় জনমত ক্ষুব্ধ। ফলে দিল্লি-আঙ্কারা সম্পর্ক ক্রমেই শীতল হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষণে মোদি ও এরদোয়ানের মধ্যে একাধিক মিল লক্ষ করা যায়। উভয়েই ধর্মনির্ভর জাতীয়তাবাদী রাজনীতির মুখ। একজন হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রতিনিধি, অন্যজন ইসলামি নেতৃত্বের প্রতীক। উভয়ের নেতৃত্বেই রাষ্ট্রে ধর্মের ভূমিকা প্রবলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাদের উত্থানের গল্পেও সাদৃশ্য—দুজনই দরিদ্র পটভূমি থেকে উঠে এসেছেন, নিজের রাজনৈতিক দলকে জনপ্রিয় করেছেন, এবং ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর মধ্যেই ধর্মকে প্রভাবশালী করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তাই প্রায়ই দুই নেতাকে এক সূত্রে গাঁথেন।
তবে পার্থক্যও আছে। ভারতের বহুসাংস্কৃতিক ও বিশাল জনগোষ্ঠীর তুলনায় তুরস্ক অপেক্ষাকৃত একরৈখিক সমাজ। তবুও, দক্ষিণ এশিয়ায় এরদোয়ানের রাজনৈতিক পদক্ষেপ ও পাকিস্তানপ্রীতি ভবিষ্যতে ভারত-তুরস্ক সম্পর্কে আরও টানাপোড়েন তৈরি করতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।