বিনোদন

সত্য খুব দ্রুতই পরিষ্কার হবে— মেহজাবীন চৌধুরী

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫
সত্য খুব দ্রুতই পরিষ্কার হবে— মেহজাবীন চৌধুরী
শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেওয়ার এক দিন পর নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। গতকাল সোমবার সকালে ফেসবুকে ‘আমার অফিশিয়াল বিবৃতি’ শিরোনামে একটি পোস্ট দিয়ে মামলার বাদীর অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন ও প্রমাণবিহীন দাবি করেছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে মেহজাবীন লেখেন, একজন অজানা ব্যক্তি ২০২৫ সালের মার্চে আমার এবং আমার ১৯ বছর বয়সী ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত ৯ মাসে আমি এ মামলার কোনো তথ্য পাইনি, কারণ অভিযোগকারী ব্যক্তি পুলিশকে আমার সঠিক ফোন নম্বর, ঠিকানা বা কোনো যাচাইকৃত তথ্য দিতে পারেননি।”

বাদী আমিরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, ২০১৬ সাল থেকে তিনি মেহজাবীনের সঙ্গে ব্যবসা করতেন এবং ব্যবসায়িক প্রয়োজনে অভিনেত্রীকে ২৭ লাখ টাকা দেন। মেহজাবীন দাবি করেছেন, অভিযোগকারী এসব বিষয়ের একটি প্রমাণও দেখাতে পারেননি।
তিনি বলেন, ২০১৬ সাল থেকে তিনি আমার সঙ্গে ব্যবসা করতেন—এর কোনো প্রমাণ নেই। ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ বা ফোন—কোথাও তাঁর কোনো বার্তা নেই। ২৭ লাখ টাকা দিয়েছেন—এর কোনো ব্যাংক লেনদেন, চেক, বিকাশ, লিখিত চুক্তি, রসিদ বা সাক্ষী—কিছুই নেই। একটি কাগজ পর্যন্ত দেখাতে পারেননি।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি মেহজাবীন চোখ বেঁধে বাদীকে হাতিরঝিলের একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে যান। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছোট ভাইসহ আরও চার–পাঁচজন। কিন্তু মেহজাবীন এসব অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেন।
তিনি লিখেছেন, হাতিরঝিল ঢাকার সবচেয়ে বেশি সিসিটিভি–নিয়ন্ত্রিত এলাকা। অথচ তিনি এক সেকেন্ডের ফুটেজও দেখাতে পারেননি। কোনো রেস্টুরেন্টের ভিডিও, রাস্তার ফুটেজ, কোনো সাক্ষী—কিছুই নেই।

অভিযোগকারী দাবি করেছেন, তিনি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। তবে মেহজাবীন বলেন, গত ৯ মাসে আমি কোনো নোটিশ পাইনি। কোনো পুলিশ স্টেশনের কল, কোর্টের নোটিশ বা কোনো ডকুমেন্ট কিছুই আসেনি। নোটিশ পেলে আগেই আইনি ব্যবস্থা নিতাম।

তিনি আরও জানান, এ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় তিনি আইন মেনে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন, যা আইন ও নিয়মের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ।

বিবৃতির শেষভাগে মেহজাবীন লিখেছেন, কাউকে অপমান বা ভাইরাল হওয়ার জন্য অন্যকে ব্যবহার করা এখন খুব সহজ। এই ব্যক্তির যা-ই উদ্দেশ্য থাকুক না কেন—তিনি যদি আমার বা আমার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে চান, আমি বিশ্বাস করি—সবকিছু খুব দ্রুতই আদালতে পরিষ্কার হয়ে যাবে।