দক্ষিণী সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা নাগার্জুনা তার ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। কিন্তু তারই একটি ছবির শুটিংয়ে ঘটে গিয়েছিল চমকপ্রদ একটি ঘটনা। ছবির এক দৃশ্যে নায়িকাকে চড় মারার দৃশ্য ধারণ করা হচ্ছিল। পরিচালক বাস্তবসম্মত আবেগ ফুটিয়ে তোলার জন্য একবারে সন্তুষ্ট হননি। বারবার রিটেক দিতে হয় সেই দৃশ্যের।
শটটি যতবার নেওয়া হতো, ততবারই রিয়েলিজম আরও তীব্র করতে চাওয়া হচ্ছিল। অবশেষে সেই দৃশ্যে নাগার্জুনকে ইশা ১৪ বার বাস্তব চড় মারেন, যাতে ক্যামেরার সামনে প্রয়োজনীয় আবেগ ফুটে ওঠে
এই দৃশ্য ইশার ক্যারিয়ারে শুধুমাত্র চ্যালেঞ্জই ছিল না, বরং এক অভিনয়শৈলীর কথা থেকেও অনুপ্রেরণা—কারণ “method acting”-এর উদ্দেশ্যেই অভিনেত্রী নিজে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ।
নাগার্জুন তাঁর পেশাদারিত্ব ও সংযমের পরিচয় দিয়েছিলেন—যখন তিনি দুঃখ প্রকাশ করলেন, কিন্তু ইশা নিজেই খেয়াল করালেন যে এই সিদ্ধান্ত তাঁরই ছিল।
ফলে অভিনেত্রীকে টানা ১৪ বার নাগার্জুনার চড় খেতে হয়েছিল শুটিং সেটে। যদিও এটি ছিল শুধুমাত্র ক্যামেরার প্রয়োজনে, তবুও ঘটনাটি নিয়ে তখন টলিউড ও টালিউডের আলোচনার ঝড় ওঠে।
Chandralekha (1998) ছবিটি যদিও তেলুগু ভাষায় তৈরি হয়েছিল, এটি ইশা কূপিকার জন্য একটি স্মরণীয় ও কর্মফলময় অর্জনের মুহূর্ত হয়ে ছিল। আজও সেই ১৪ বার চড় খাওয়ার স্মৃতি দর্শকদের মনে প্রশংসার সুর তুলে আনে—একজন পেশাদার অভিনেত্রীর নির্ভীক আত্ম-উপলব্ধি আর নায়ক নাগার্জুনার সহানুভূতিশীল অভিনয়চর্চার সমন্বয়েই তো গড়া হয় সিনেমার জাদু।