বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) আলোচিত দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হন দুদকের তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম। প্রায় দেড় ঘণ্টার অভিযান শেষে তারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযানের বিস্তারিত জানান।
দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন জানান, তিনটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মুজিববর্ষ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে বলা হয়েছে, বিসিবি আয়োজিত কনসার্টসহ নানা আয়োজনে ২৫ কোটি টাকা খরচ দেখানো হয়েছে, যেখানে প্রকৃত ব্যয় ছিল মাত্র ৭ কোটি টাকার মতো। এতে প্রায় ১৮-১৯ কোটি টাকার গরমিল রয়েছে বলে অভিযোগ। দুদক জানিয়েছে, তারা এ সংক্রান্ত রেকর্ড-পত্র সংগ্রহ করেছে এবং যাচাই করে কমিশনে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।
টিকিট বিক্রির প্রসঙ্গে বলা হয়, বিপিএলের ১১তম আসরে বিসিবি ১৩ কোটি টাকার টিকিট বিক্রির হিসাব দিয়েছে, যেখানে আগের আট বছরে টিকিট বিক্রি থেকে আয় ছিল মোট ১৫ কোটি টাকা। এই হঠাৎ আয়ের বৃদ্ধি তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।
এছাড়া তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগে ক্লাব নিবন্ধন ফি ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকায় উন্নীত করার ফলে বেশিরভাগ ক্লাবই অংশ নেয়নি। এতে করে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ২-৩ তে নেমে আসে, যা নিয়েও পুরনো অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযান শেষে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “দুদককে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে এবং আমরা তদন্তের প্রতি সম্মান জানাই।