ফিরে এসেছে ব্রাজিলিয়ানদের সুদিন। মাস্টারমাইন্ড কার্লো আনচেলত্তি দেখিয়ে দিয়েছেন, ব্রাজিল ডমিনেট করতে কোনো বড় তারকার ওপর নির্ভরশীল নয়। নেইমার, ভিনিসিয়ুস, রদ্রিগোকে ছাড়াই চিলির বিপক্ষে ৩-০ গোলের দাপুটে জয় পেয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
মাত্র কয়েক মাস আগেও মাঝারি মানের দলের বিপক্ষে ভুগতে থাকা ব্রাজিলকে চিনতেই কষ্ট হচ্ছিলো। তবে আনচেলত্তি দায়িত্ব নেওয়ার পর পুরো চেহারাটাই পাল্টে গেছে। এখন ব্রাজিল মানেই দুর্ভেদ্য রক্ষণ, পরিকল্পিত আক্রমণ আর আত্মবিশ্বাসী ফুটবল।
আনচেলত্তির ট্যাকটিক্যাল মাস্টারক্লাস
চিলির বিপক্ষে ব্রাজিল খেলেছে ৪-৩-৩ ফর্মেশনে। তবে এর ভেতরে ছিলো একাধিক স্তরের কৌশল।
- ডিফেন্সে মারকিনিয়োস ও গ্যাব্রিয়েল হয়ে ওঠেন অটল দেয়াল। দুই উইংব্যাক রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি আক্রমণ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
- মিডফিল্ডে ক্যাসেমিরো বারবার প্রতিপক্ষের আক্রমণ ভেঙে দিয়েছেন। ব্রুনো ও রাফিনহা একত্রে আক্রমণ সাজিয়েছেন।
- আক্রমণে তরুণ জোয়াও পেদ্রো সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে জায়গা তৈরি করেছেন, দুই উইং থেকে মার্টিনেলি ও এস্তেভাও বারবার কাট-ইন করে চিলির রক্ষণকে ব্যস্ত রেখেছেন।
ম্যাচের গোলগুলো
- ৩৮ মিনিটে চেলসির তরুণ তারকা এস্তেভাও দুর্দান্ত গোল করে এগিয়ে দেন ব্রাজিলকে।
- দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই লুকাস পাকেতা এক মিনিটের মধ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
- শেষ গোলটি আসে ব্রুনোর নিখুঁত ফিনিশিংয়ে।
পরিসংখ্যানই বলছে সব
- বল দখল: ৬৪%
- শট: ২২টি
- চূড়ান্ত স্কোর: ব্রাজিল ৩-০ চিলি
নতুন বার্তা
নেইমার ফিট থাকা সত্ত্বেও আনচেলত্তি তাকে স্কোয়াডে নেননি। ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোকেও ছাড়াই প্রমাণ করেছেন—ব্রাজিলের শক্তি কোনো ব্যক্তিগত তারকায় নয়, বরং পুরো দলেই।
এই জয় শুধু বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তিন পয়েন্ট নয়, বরং বিশ্ব ফুটবলে এক নতুন বার্তা: ব্রাজিল ফিরে এসেছে—এবার দলগত শক্তি নিয়েই।