চিলির বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৩-০ গোলের দারুণ জয় পেয়েছে ব্রাজিল। কার্লো আঞ্চেলত্তির অধীনে দুর্দান্ত ছন্দে ছুটে চলা সেলেসাওদের হয়ে সেদিন ইতিহাস গড়েন এক কিশোর—এস্তেভাও উইলিয়ান। ম্যাচের প্রথম গোলটি করে শুধু জয় নিশ্চিত করেননি, বরং নাম লিখিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের সোনালি পাতায়।
কে এই এস্তেভাও?
ফুটবলপ্রেমীরা তাঁকে চেনেন আরেক নামে—“মেসিনহো”। খেলার ধরণ, টেকনিক ও জাদুকরী স্কিলের জন্য ছোটবেলা থেকেই ডাকনামটা লেগে গেছে তাঁর সঙ্গে। নামটাও এসেছে দুই মহাতারকার মিলনে—লিওনেল মেসি ও রোনালদিনহো।
বলা হয়, ব্রাজিলের গলিতে গলিতে পাওয়া যায় স্বর্ণ, আর সেই স্বর্ণ হলো ফুটবলার। সেই অসংখ্য আবিষ্কারের একজন এস্তেভাও। প্রতিভার ঝলক এতটাই উজ্জ্বল ছিল যে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হওয়ার পরপরই তাঁকে কিনে নেয় চেলসি। তবে বয়সের নিয়মে এখনও পালমেইরাসেই খেলছেন তিনি।
নেইমারের উত্তরসূরি
এস্তেভাওকে অনেকে দেখছেন নেইমারের প্রকৃত উত্তরসূরি হিসেবে। কথাটা শুধুই অনুমান নয়। অনূর্ধ্ব-১৭ বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ব্রাজিলিয়ান সেরি আ-তে সর্বোচ্চ ১৬ গোল অবদানের রেকর্ড ছিল নেইমারের দখলে। গত মৌসুমে সেই রেকর্ড ভেঙেছেন এস্তেভাও।
জাতীয় দলে রেকর্ড
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোর স্বপ্ন পূরণ করেছিলেন আগেই। কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর এল সেই বিশেষ মুহূর্ত। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চিলির বিপক্ষে ব্রাজিলের প্রথম গোলটি আসে তাঁর পা থেকে।
- মাত্র ১৮ বছর ৪ মাস বয়সেই জাতীয় দলের হয়ে গোল করে পেছনে ফেলেছেন রোনালদো নাজারিও, নেইমার জুনিয়র-সহ আরও অনেক কিংবদন্তিকে।
- ব্রাজিলের হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে গোল করা দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় এখন তিনি। প্রথম স্থানে আছেন কিংবদন্তি পেলে, যিনি করেছিলেন ১৭ বছর ৪ মাস বয়সে।
নতুন স্বপ্নের প্রতীক
গোল করার পর এস্তেভাওয়ের চোখেমুখে ঝলমল করছিল আত্মবিশ্বাস। সমর্থকদের কাছে এই গোল কেবল একটি সংখ্যা নয়, বরং এক নতুন স্বপ্নের প্রতীক। যে স্বপ্নে আগামী দিনের ব্রাজিলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এই বিস্ময় বালক নিজেই।
চেলসিতেও দারুণ পারফরম্যান্স করে চলেছেন তিনি। সব মিলিয়ে ব্রাজিল পেয়ে গেছে এক নতুন রত্ন—যার নাম এস্তেভাও উইলিয়ান, আর যাকে বিশ্ব চেনে মেসিনহো নামে।