খেলা

এসেছে নতুন শিশু, ছেড়ে দিতে হবে স্থান।

স্টাফ রিপোর্টার

স্টাফ রিপোর্টার

সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫
এসেছে নতুন শিশু, ছেড়ে দিতে হবে স্থান।

 দিনশেষে জীবনের নিয়মে বয়স বাড়বে, পুরাতনেরা সব হয়ে যাবে গত।
 ভক্তদের হৃদয়ে জ্বলবে আগুন কিছুদিন।
 তারপর ধীরে ধীরে নতুনেরা এসেই শুকিয়ে দেবে সে ক্ষত।


সাকিব আল হাসান একটা ইন্টারভিউতে বলেছিলেন, সময় দিলে দলটা উপযুক্ত প্রতিদান দেবে, দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে যারা অন্যের ছায়ায় বেড়ে উঠেছে, তাই জানে না তাদের কী করতে হবে। এখন মুক্তভাবে যখন দায়িত্ব নিজের কাঁধে উঠছে,
 তারা শিখে যাচ্ছে তাদের কাজটা আসলে কী।


তারা অবদান রাখছেন, জেতাচ্ছেন দলকে।


সাকিব আরও বলেছিলেন, মাত্র ছয় মাস সময় দিলে মানসম্মত ওপেনার তৈরি করা সম্ভব।


তানজিদ তামিম এবং পারভেজ হোসেন ইমন বাংলাদেশের টি২০ ইতিহাসে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ওপেনিং জুটি নয় কি?


মাত্র ২৮টি টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে যিনি তুলে নিয়েছেন ৫টি অর্ধশতক, ২৬-এর বেশি গড়ে প্রায় ১৩০ স্ট্রাইকরেটে তুলেছেন ৬৫৫ রান।


ক্যারিয়ারের প্রথম ২৮টি টি২০ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে খেলা যেকোনো ওপেনারের চেয়ে যা ভালো স্ট্যাটাস।


সেই সাথে দৃষ্টিনন্দন সব শট, অসাধারণ ছক্কা হাঁকানোর দক্ষতা। যেন আরও পরিণত হয়ে আরও নজর কাড়ে, আরও কথা বলে এই ওপেনারের হয়েই।


অন্যদিকে আধুনিক টি২০ ক্রিকেটের সাথে তাল মিলিয়ে বিশ্বমানের প্রদর্শনী দেখাচ্ছেন পারভেজ হোসেন ইমন। যেমন ফেয়ারলেস ব্যাটিং, মাশেল পাওয়ার কিংবা ফিটনেস লেভেল।
 যেন সর্বেসর্বা এই বাহাতি ব্যাটার। ক্যারিয়ার সবেমাত্র শুরু, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নেই তেমন পরিচিতি।
 তবে ইতিমধ্যে যেভাবে নিজের আগমনী বার্তা দিয়ে রেখেছেন বিশ্ববাসীকে, যেন যত্ন নিলে শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেটে নয়—গোটা বিশ্ব ক্রিকেটেরই সম্পদ হয়ে উঠতে পারেন এই ওপেনার।


ক্যারিয়ারে মাত্র ১৬ ম্যাচ খেলে ভাগ বসিয়েছেন বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র টি২০ আন্তর্জাতিক শতক হাঁকানো তামিম ইকবালের রেকর্ডে। দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে গড়েছেন আন্তর্জাতিক টি২০ সেঞ্চুরির রেকর্ড।
 সেই সাথে নামের পাশে রয়েছে ২টি অর্ধশতক।


১৬ ম্যাচে ২৫ গড়ে ১৪১-এর বেশি স্ট্রাইকরেটে যার সংগ্রহ ৩৬০ রান।


ফেয়ারলেস খেলার স্বাধীনতা পেলে এই ব্যাটার হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় ম্যাচ উইনার।


এতো গেল ওপেনারদের কথা।


সিনিয়র তথা বাংলাদেশ ক্রিকেটের মোড়লরা যা পারেনি, তা করে দেখাচ্ছে তরুণ এই দলটা।


প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার মাটিতে গিয়ে তাদের বিপক্ষে সিরিজ জয় পাওয়াটা তো এই দলটারই কীর্তি।


পাকিস্তানের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ২৩টি ম্যাচ খেলে ১৯টিতেই হারতে হয়েছে টিম বাংলাদেশকে।
 বাকি চার জয়ের অন্যতম সেরা জয়টা তো গেল ম্যাচটাই।


৪ ওভার তিন বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে টি২০ ম্যাচে জয় পাওয়া নিঃসন্দেহে বিশাল অর্জন—তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না।


প্রকৃতি শূন্যস্থান পছন্দ করে না। ক্রিকেটে তো একদমই না।
 তাই ভালো’র চেয়ে আরও ভালো দিন আসবেই।
 আধার ঠেলে নতুন ভোরে রঙিন সূর্য হাসবেই।