যেন কথায় আছে, কিন্তু কাজে নেই। দেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন যেন মাঠের পারফরম্যান্সে নয়, বরং কথার ঝাঁঝেই সীমাবদ্ধ। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ ঘিরে যতটা উন্মাদনা তৈরি হয়েছে, মাঠের আয়োজন দেখে ঠিক ততটাই হতাশ হতে হচ্ছে দর্শকদের।
এই হাইভোল্টেজ সিরিজে থাকছে না আধুনিক প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো — যেমন স্পাইডার ক্যামেরা, ব্যাগি ক্যামেরা, কিংবা ডিজিটাল বিজ্ঞাপন বোর্ড।
শুরু থেকেই সিরিজ সম্প্রচার সত্ত্ব নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। শেষমেশ তা বিক্রি হলেও, পুরো সম্প্রচার ব্যবস্থায় আধুনিকতার ছোঁয়া পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রযুক্তির অনুপস্থিতি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
স্পাইডার ক্যামেরা:
আধুনিক ক্রিকেটে স্পাইডার ক্যামেরা এক অপরিহার্য অংশ। এটি মাঠের চারপাশে কেবল ঝুলিয়ে ঘোরানো হয় এবং বিভিন্ন দিক থেকে অ্যাকশন ধারণ করতে পারে।
উপকারিতা:
- দর্শকদের জন্য পাখির চোখে দেখা ভিউ
- ধারাভাষ্য ও বিশ্লেষণে সাহায্য
- DRS ও থার্ড আম্পায়ার সিদ্ধান্তে সহায়ক
- ম্যাচের সিনেমাটিক এক্সপেরিয়েন্স তৈরি
ব্যাগি ক্যামেরা:
একটি ছোট, রিমোট-কন্ট্রোল গাড়ির মতো ক্যামেরা যা মাঠের ওপর দিয়ে চলে।
এটির মাধ্যমে দেখা যায়:
- কাছ থেকে প্লেয়ারদের রিঅ্যাকশন ও উদযাপন
- মাঠের নীচু কোণ থেকে শট
- ম্যাচ অফিসিয়ালদের মুহূর্ত ক্যাপচার
ডিজিটাল বিজ্ঞাপন বোর্ড:
ক্রিকেট মাঠে এখনকার যুগে LED বা ডিজিটাল বোর্ড থাকাটা স্বাভাবিক, যেখানে ম্যাচ চলাকালীন বিজ্ঞাপন ও স্কোর আপডেট একসাথে চলে।
এই সিরিজে সেটিও অনুপস্থিত।
বাংলাদেশে প্রযুক্তির ঘাটতি, দর্শকদের অভিজ্ঞতায় নেতিবাচক প্রভাব
আধুনিক যুগে যখন বিশ্বের প্রতিটি সিরিজ প্রযুক্তিনির্ভর কনটেন্ট দিয়ে দর্শকদের আগ্রহ ধরে রাখছে, তখন বাংলাদেশে আয়োজিত একটি বড় সিরিজে এমন আয়োজন ব্যাকডেটেড ও দৃষ্টিকটুভাবে ধরা পড়ছে।
এ যেন যুগোপযোগী ক্রিকেট নয়, বরং আগের যুগের প্রযুক্তিহীন এক আয়োজন — যেখানে খেলাটা হয়তো চলবে, কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে যাবে অপূর্ণ।