খেলা

গ্লোবাল সুপারলীগে রংপুর রাইডার্সদের ফাইনাল হার

স্টাফ রিপোর্টার

স্টাফ রিপোর্টার

শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫
গ্লোবাল সুপারলীগে রংপুর রাইডার্সদের ফাইনাল হার
কথায় আছে শেষ ভালো যার সব ভালো তার। রংপুর শেষটা রাঙাতে পারলেন না নিজেদের রঙে। শেষ টা ভালো হলো না। 

গেলো বারের গ্লোবাল সুপারলীগ চ্যাম্পিয়ন রাইডার্সদের সামনে সুযোগ ছিলো পরপর দুইবার শিরোপা ঘরে তোলার। 

আসরে এখন পর্যন্ত অপরাজিত এই দলটার শেষমেস হারতে হলো ফাইনালে এসে। 

যেনো ফাইনাল হয়েছে ফাইনালের মতোই। আসরের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচটিই গায়না অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সদের বিপক্ষে খেলতে হয়েছে সৌম্য সাইফ হাসানদের। 

শুরুতে ব্যাট করতে  নেমে ক্যারিবিয়ান এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটির  দুই ওপেনার জনশন চার্লস ও ইভেন লুইস খুব একটা ভালো শুরু এনে  দিতে পারেনি। 

৯ বলে ৫ রানের এক ইনিংস খেলে সাইফ হাসানের কাছে ক্যাচ তুলে দিয়ে খালেদ আহমেদ এর শিকার হয়ে ফিরে যান ক্যারিবিয়ান এই ব্যাটার। 

আর তারপরেই যেনো পিচে এসে ঝড় তুলেন আফগানি তারকা ব্যাটার রহমানউল্লাহ্ গুরবাজ। 

জনশন চার্লসকে সাথে নিয়ে যেনো একটার পরে একটা চার - ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন এই দুই টি২০ মোড়ল।  

৩৮ বলে ৪ ছক্কা ও ৬ টি চারের সাহায্যে  ১৭৩ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে ৬৬ রান তুলেন আফগানি এই উইকেটকিপার ব্যাটার। 

তারপরই ক্রিজে আসে সিমরন হিটমায়ার। ইফতেখার আহমেদের বলে বিট হয়ে বল যায় সোহানের গ্লাভসে। প্রথমে স্ট্যাম্প না ভাঙলেও যখনি হেটমায়ার ক্রিজ থেকে ভারসাম্য ঠিক করতে পা তুলেন, তখনি স্ট্যাম্পিং করে বসেন ক্যাপটেন নুুরুল হাসান সোহান। 
এধরনের বুদ্ধিদীপ্ত উইকেট কিপিং যে বিশ্বমানের যেকোনো উইকেট কিপারের সাথে তূলনা করার মতো তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 

৪৮ বলে ৬৭ রানের এক ইনিংস খেলে চোট পেয়ে ফিরে যান চার্লস।  তবে রাদার্ফোর্ট আর রোমারিও শেইফার্ট করেন আসল কাজটা।

মাত্র ৯ বলে ২৮ রানের এক দানবীয় ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রোমারিও শেইফার্ট।  তার তাতেই আসরের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে ক্যারিবিয়ান ফ্রাঞ্চাইজিটি। 

জবাবে ব্যাট করতে নেমে জেনো ধসে পরে রাইডার্সদের টপ অর্ডার।

৫, ১৩, এবং ৫ রান করে যথাক্রমে ফিরে যান ইব্রাহিম জাদরান, সৌম্য সরকার এবং কাইল মায়ার্স। 

এরপরে সাইফ হাসান এবং ইফতেখার  মিলে গড়েন  এক সম্মান বাঁচানো জুটি।

সাইফ ৪১ এবং ইফতেখার ৪৬ রান করে ফিরে গেলে রাইডার্স শিবিরে তখন কেবল অপেক্ষা ব্যবধান কমিয়ে পরাজয় বরন করে নেয়ার।  আহমতউল্লাহ্ ওমরযাই ৩ রান এবং দলপতি নুরুল হাসান সোহান ৫ রানে ফিরে যাওয়ার পরে মাহিদুল ইসলাম অংকনের ১৭ বলে ৩০ রান ছিলো কেবর রাইডার্সদের সম্মান বাঁচানোর লড়াই।

শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভার ৫ বলেই দশ উইকেট হারিয়ে বসেন সৌম্য সাইফরা। 

আর ৩২ রানের ব্যবধানে জয় পেয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাাম্পিয়নদের হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলেন গায়না অ্যাম্যাজন ওয়ারিয়র্স।

তবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন আর এবারের রানারআপ রাইডার্সরা যে গ্লোবাল সুপার লীগেও বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব ঠিকঠাক ভাবেই সম্মানের সাথে করে যাচ্ছেন তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।