ফুটবলের 'আতুর ঘর' বলে খ্যাত ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। যেখান থেকে বেরিয়ে এসেছে কালজয়ী মহানক্ষত্র পেলে-ম্যারাডোনা কিংবা মেসির মতো যুগ পরিবর্তনকারি প্লেয়াররা। এই দুই দেশেই এখন নেগেটিভ খবরের শিরোনামে।
একদিকে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে অভিযুক্ত ব্রাজিলিয়ান ক্লাব অন্যদিকে আর্জেন্টিনায় একই ম্যাচেই ৬ লাল কার্ড আর ৮ টি হলুদ কার্ডের বন্যা।
ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে ব্রাজিলে ১৬ জন প্লেয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আইনজীবীরা। তাঁদের মধ্যে আছেন সাতজন অভিজ্ঞ ফুটবলার।
নেইমারের সাবেক ক্লাব সান্তোস এবং ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্সেলোর বর্তমান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের খেলোয়াড়রা রয়েছে এই অভিযুক্তদের তালিকায়।
ব্রাজিলের স্থানীয় আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ক্লাব পর্যায়ের মোট ১৩টি ফুটবল ম্যাচ পাতানো হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে আটটি ম্যাচ ব্রাজিলিয়ান লিগের। যেগূলো গত বছর অনুষ্ঠিত হয়েছে। যে ক্লাব গুলোর ব্যাপারে এমন ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ রয়েছে তার মাঝে সান্তোস অন্যতম।
ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবটির রয়েছে গর্ব করার মতো ইতিহাস। নেইমারের মতো মহাতারকারা যে ক্লাবে খেলে গেছে, সে ক্লাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে ম্যাচ পাতানোর।
এরই যে প্লেয়ারদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। গতকাল পাঁচজনকে নিষিদ্ধ করেছে তাঁদের ক্লাব।
নিষিদ্ধ এই প্লেয়ারের অন্যতম পেদ্রিনহো,যিনি খেলেন ব্রাজিলিয়ান ক্লাব এটল্যাটিকো এমজিতে। এই ক্লাবেরই আরেক খেলোয়াড় ব্রায়ান গার্সিয়া। নিষিদ্ধ করা হয়েছে ক্রুজেইরোর রিচার্ড। ফ্লুমিন্সের ভিটর মেন্দেজকে। যেক্লাবে বর্তমানে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্সেলো খেলেন।
মামলার অভিযোগপত্রে আইনজীবীরা দাবি করেন, একটি অপরাধী চক্র এই খেলোয়াড়দের মোটা অংকের টাকা দিয়েছে। খেলোয়াড়দের যেভাবে বলে দেওয়া হয়, মাঠে তাঁরা সেভাবে কাজ করেন এবং সে ম্যাচের ফলের ওপর বাজি ধরে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।
আইনজীবীরা আরো দাবি করেছেন, খেলোয়াড়দের পাতানো খেলায় রাজি করতে প্রথম ধাপেই প্রায় এক লাখ ডলার হাতে তুলে দেওয়া হয়। কথা অনুযায়ী কাজ করার পর আরও টাকা পান খেলোয়াড়েরা।
অভিযুক্ত এই খেলোয়াড়েরা ‘সর্বোচ্চ শাস্তি’ পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রাজিলের আইনজীবী খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে তদন্দে নেমেছে। মোট ১৬ জনকে বিচারের আওতায় আনা হবে এবং তাঁদের মধ্যে ৭ জন সিনিয়র খেলোয়াড়ও আছেন।
দিন কয়েক আগে আর্জেন্টিনার বিখ্যাত ক্লাব বোকা জুনিয়র্সে আরেক কলংকের ঘটনা ঘটেছে। ম্যারাডোনার স্মৃতি বিজরিত এই ক্লাবটির চির প্রতিদ্বন্ধি রিভার প্লেটের বিপক্ষে খেলার ম্যাচে, হাতাহাতিসহ মাঠে পুলিশ আসতে বাধ্য হয়েছে।
সে ম্যাচ শেষে একটি পেনাল্টিকে কেন্দ্র করে দু ক্লাবের প্লেয়াররা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে দুই দলের খেলোয়াড়দের ৬ জনকে লাল কার্ড দেয়া হয়।