অবশেষে কোচ গার্দিওলার সেই ভবিষ্যদ্বানীই এবার সত্যি হতে হলো। ম্যাচের আগেই সেমিফাইনাল নিয়ে বলতে গিয়ে ম্যান সিটি কোচ গার্দিওলা বলেছিলেন, ‘লড়াইয়ের নিষ্পত্তি হবে ম্যানচেস্টারে।’ রিয়ালের মাঠ বার্নাবূতে জেতেনি কোন দলেই।
তবে সমতার এই ম্যাচে ভিনিসিয়াসের পারফর্মেন্স ছিল অসাধারন। তবে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ডি ব্রুইনার করা গোলটি নিয়ে। ৬৭ মিনিটে করা ডি ব্রুইনার করা গোলটি নিয়ে সমালোচনায় মুখর পুরো নেট দুনিয়া।
লড়াইটা দুই লিগের মহারথিদের লড়াই। লড়াইটা ছিল ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। সেই লড়াইয়ের কোচ আনচেলত্তির প্রধান হাতিয়ার ব্রাজিলিয়ান সেনশেসন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। যথারিতি বিগ ম্যাচে দারুনভাবে জ্বলে উঠলেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লীগ মানে ভিনিসিয়াসের ব্রিলিয়ান্ট কিছূ। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে দারুন শটের গোলটা দিয়েই রিয়ালের আক্রমন শুরু। এর আগে বেঞ্জেমাদের খুজেই পাওয়া যায়নি ম্যাচে।
ম্যাচের শুরু থেকেই ম্যান সিটির করা একের পর এক মুহুর্মুহু আক্রমনে নাস্তানাবুদ রিয়ালের ডিফেন্স লাইন, তাদের গোলকিপার কর্তোয়া দুর্দান্ত কিছু সেভ না দিলে, গোল হত কয়েকটি। লস ব্লাংকোসদের এমন অসহায় সময়টাতেই ভিনিসিয়াসের গোলে হালে পানি পায় তারা। গতবারের মতো এই সিজনের ইউসিএলেও আরো দুর্দান্ত এই ব্রাজিলিয়ান।
তবে রিয়ালের যদি ভিনিই ত্রানকর্তা হয়ে থাকে, তাহলে ম্যান সিটিকে গুরুত্বপুর্ন মুহুর্তে বাচিয়ে তুলেন ডি ব্রুইনা। ম্যাচের শুরু থেকেই দারুন ছন্দের আক্রমনের পসরা সাজিয়েছিল ম্যান সিটি। কিন্তু কোনভাবেই সফল হতে পারছিলনা তারা।
এই সিজনের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার হাল্যাণ্ডকে খূজে পাওয়া যায়নি এদিন। তাকে ঠেকিয়ে রেখেছে রিয়াল ডিফেণ্ডাররা। কিন্তু ডি ব্রুইনাকে ঠেকানো যায়নি। বেলজিয়ান মিডফিল্ডার পেপ গার্দিওলার কত বড় অস্ত্র, সেটি চমৎকার এক গোলেই দেখিয়ে দিয়েছেন।
ডি ব্রুইনার ওই সমতায় ফেরানো গোল নিয়েই বিতর্ক রয়েছে । যে আক্রমণ থেকে গোল পেয়েছেন ডি ব্রুইনা, সেই আক্রমণে ‘বিল্ড আপে’র সময়ে বল মাঠের বাহিরে চলে গিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিটেই ৬৬ শতাংশ বলের দখল ছিল সিটির। বল পায়ে তারা রীতিমতো তটস্থ করে রেখেছিল বেঞ্জেমাদের। কিন্তু ভিনির গোলের পর পাল্টে যায় ম্যাচের মোমেন্টামও। সিটির কাছ থেকে ম্যাচের লাগামটা তখন নিজেদের হাতেই নিয়ে নেয় রিয়াল। সব শেষে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে ২য় লেগে ফলাফলের অপেক্ষায় দুদল।