৩৬ বছর পর আর্জেন্টিকাকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে,মেসির ঝুলিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন এওয়ার্ড।গতকাল ট্রফি ক্যাবিনেটে সংযোজন হলো আরেকটি গুরুত্বপুর্ন পুরষ্কার,লরিয়াস এওয়ার্ড। যা স্পোর্টসের অস্কার বলে স্বিকৃত। যেখানে এম্বাপ্পেকে হটিয়ে মর্যাদাপুর্ন এই পূরষ্কারটি গ্রহন করেন মেসি।
ফুটবলারদের মাঝে একমাত্র মেসিই এই এওয়ার্ডটি পেয়েছেন। যেখানে রোনালদো,নেইমারও এই মর্যাদায় আসতে পারেননি,সেখানে লিও অনন্য।
কিংবদন্তি লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারে ১৬ কলা পুর্ন হতে বাকি ছিল শুধু সোনালি ট্রফিটি। টানা তিনবার ব্যর্থতার পর ২০২২ বিশ্বকাপে এসে,এতোদিনের আরাধ্য শিরোপা জিতে সোনায় সোহাগা ফুটবলের এই ক্ষূদে জাদুকর।
অনেকটা একক নৈপূণ্যে ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে ৩য় বার বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে মাতিয়েছেন তিনি। বাধভাংগা বূনো উল্লাসের পাশাপাশি,ফুটবলের যত মর্যাদাপুর্ন এওয়ার্ডে নির্ধিদায় একটাই নাম লিওনেল মেসি। ফিফা বর্ষসেরাসহ বহু এওয়ার্ডের পর আরেকটি নতুন সংযোজন ফুটবলের অস্কার খ্যাত ‘লরিয়াস’ এওয়ার্ড।
ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো মেসি জিতলেন লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড। এছাড়া বর্ষসেরা দলের পুরস্কার জিতেছে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার হয়ে এই পুরস্কারও গ্রহণ করেন লিও। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে,ফ্রান্স থেকে দেওয়া এই এওয়ার্ড জিতার রেসে প্রতিদ্বন্ধিতা ছিল, ফরাসি তারকা এম্বাপ্পের সাথে।
বিশ্বকাপে গোল্ডেন বলের মতো, এবারো এম্বাপ্পেকে হটিয়ে লরিয়াস এওয়ার্ডটি জিতে নিলেন ‘এলএমটেন’।
বিতর্কিত সৌদি সফর শেষে গতকালই নিষেধাজ্ঞার মাঝেই পিএসজির অনুশীলনে ফিরেছেন মেসি। অনুশীলন শেষে মেসিকে যোগ দিতে হয়েছে লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে।
এর আগে মেসি ২০২০ সালে এই পুরস্কার জিতেছিলেন। ফুটবলারদের মধ্যে একমাত্র তিনিই জিতেছেন গুরুত্বপুর্ন এই এওয়ার্ড। শুধু তাই নয়, ব্যক্তিগত ও দলীয় পুরস্কারজয়ী প্রথম প্লেয়ারও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক।
ওয়ার্ল্ডকাপে নিজের এক্সট্রাঅর্ডিনারি লিগ্যাসি ক্রিয়েট করার পাশাপাশি পুরোবিশ্বব্যাপি মেসির যে -"ইনহিউম্যান ফিগার" তৈরি হয়েছে তাতে এই বছর মেসি ছাড়া অন্য কেউ এই এওয়ার্ড জিতবেনা এটা মোটামুটি সবাই ই নিশ্চিত ছিলো।
স্পোর্টসম্যান হিসেবে ইন্ডিভিজুয়াল গেইমগুলো ছাড়া "টিম গেইম" থেকে "এক্সট্রাঅর্ডিনারি কীর্তি" হিসেবে এসে নমিনেশন পেয়ে পুরষ্কার জেতাটা অসম্ভব একটা ব্যাপার ছিল অন্তত ২০১৯ এর আগে পর্যন্ত।
"১৮-১৯ সিজনে" মেসির দানবীয় ওয়ানম্যান শো হিসেবে, দুর্দান্ত একটা সিজন শেষ করার পর প্রথমবারের মত কোনো টিম স্পোর্টস থেকে একজন প্লেয়ার "লরিয়ার স্পোর্টসম্যান অব দ্যা ইয়ার" এওয়ার্ড জিতে নেয়।
২০০০ সাল থেকে কয়েকটি ক্ষেত্রে প্রেজেন্ট করা এই হাইলি প্রেজটিজিয়াস "লরিয়াস এওয়ার্ড" কে স্পোর্টস জগতের অস্কার হিসেবে গনণা করা হয় এবং স্পোর্টস জগতের সব থেকে প্রেজটিজিয়াস এওয়ার্ড হিসেবে ধরা হয় এটিকে।