রাজনীতি

সারজিস-হাসনাতের বাড়িতে টাকা পাওয়ার দাবি: সত্য নাকি ভুয়া?

উপ-সম্পাদক

উপ-সম্পাদক

রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
সারজিস-হাসনাতের বাড়িতে টাকা পাওয়ার দাবি: সত্য নাকি ভুয়া?
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর বাড়ি থেকে বিপুল অর্থ উদ্ধারের খবর ইন্টারনেটে ছড়ালেও তা সম্পূর্ণ ভুয়া বলে নিশ্চিত করেছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার।
রিউমার স্ক্যানারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারজিস আলমের বাসা থেকে ২০০ কোটি এবং হাসনাতের বাসা থেকে ১০০ কোটি টাকা পাওয়ার দাবি ভিত্তিহীন। এ তথ্যের মূলে রয়েছে একটি খণ্ডিত ভিডিও, যেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. তারিকুল ইসলামের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ভিডিওতে একজন ব্যক্তি বলছেন, “আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। চতুর্দিকে ষড়যন্ত্র চলছে।” এর মধ্যে দাবি করা হয়, সারজিসের বাসায় ২০০ কোটি এবং হাসনাতের বাসায় ১০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। ভিডিওটি বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করে এমন দাবি করা হয়েছে।
তদন্তে জানা যায়, এই বক্তব্যটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মো. তারিকুল ইসলামের একটি পুরনো ভিডিও থেকে নেওয়া। ১৯ অক্টোবর তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ভিডিওটির ৯ মিনিট থেকে ৯ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের অংশের সঙ্গে ছড়ানো ভিডিওটির হুবহু মিল পাওয়া যায়।
ভিডিওতে তারিকুল ইসলাম বলেন, “ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এ লড়াই শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। চতুর্দিকে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছে। সারজিসের বাসায় ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে, হাসনাতের বাসায় ১০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তিদের শক্ত নৈতিক মানদণ্ড না থাকলে তারা এ লড়াই চালাতে পারত না।”
তবে তারিকুল ইসলামের বক্তব্যের প্রেক্ষাপট স্পষ্ট করলে বোঝা যায়, তিনি আসলে সারজিস আলম এবং হাসনাত আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাদের বাসা থেকে অর্থ উদ্ধারের দাবিকে ষড়যন্ত্রমূলক গুজব হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এ বিষয়ে রিউমার স্ক্যানার আরও জানায়, কোনো নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যম বা সূত্রে সারজিস আলম বা হাসনাত আবদুল্লাহর বাড়ি থেকে অর্থ উদ্ধারের প্রমাণ মেলেনি। এই গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।
সারজিস-হাসনাতের মতো নেতাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের ভিত্তিহীন দাবি তাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানকে ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।