রাজনীতি

৩১ ডিসেম্বর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষা ঘোষণা করা হবে: হান্নান

উপ-সম্পাদক

উপ-সম্পাদক

রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
৩১ ডিসেম্বর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষা ঘোষণা করা হবে: হান্নান
৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে জাতির সামনে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষা ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
হান্নান মাসউদ জানান, শহীদ পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, এবং গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই ঐতিহাসিক ঘোষণার অংশ হবে। তিনি বলেন, “৩১ ডিসেম্বর আমরা মুজিববাদী ’৭২-এর সংবিধানের কবর রচনা করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করব। ইতোমধ্যে ঘোষণাপত্রের খসড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।”
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, “বিপ্লবের এ ঘোষণাপত্র হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এটি বর্তমান ব্যবস্থার ব্যর্থতা এবং নতুন ব্যবস্থার সম্ভাবনার মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরবে। যারা ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনা করবেন, তাদের জন্য এটি একটি নির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ঘোষণাপত্রে জাতির বিভিন্ন সমস্যা এবং তার সমাধানের রূপরেখা থাকবে। এটি গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “ফ্যাসিস্ট শক্তিগুলো বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানের বৈধতা এবং নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির সামনে স্পষ্ট হবে। আমরা বিশ্বাস করি, এই দলিল বিগত সিস্টেমের ব্যর্থতা চিহ্নিত করে নতুন পথচলার দিশা দেবে।”
ঘোষণাপত্র তৈরির জন্য সময়ক্ষেপণ হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে সারজিস আলম বলেন, “এটি আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বিভিন্ন সেক্টরের সহযোগিতা না পাওয়ায় বিলম্ব হয়েছে। তবে এবার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ৩১ ডিসেম্বর জাতি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হবে।”
আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন, শহীদ মিনারে গণমানুষের ব্যাপক সমাগম হবে এবং এ ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ বার্তা দেওয়া সম্ভব হবে।