রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের ঘোষণা নিয়ে যা বলছেন রাজনীতিকরা

উপ-সম্পাদক

উপ-সম্পাদক

মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের ঘোষণা নিয়ে যা বলছেন রাজনীতিকরা
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি আগামী নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময়সীমার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও সংস্কারের গতি নির্ভর করবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপর।
বিএনপি এই ঘোষণাকে ইতিবাচক মনে করলেও দলটির যুগ্ম মহাসচিব এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, “কিন্তু”, “যদি” এবং “তবে”-এর মতো অস্পষ্ট শব্দের পরিবর্তে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, জরুরি সংস্কারগুলোর পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি চলতে পারে।
নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, “ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরদের বিচারের আগে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।” গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এই দাবিকে যৌক্তিক বলে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী প্রক্রিয়া বন্ধ না করলে নির্বাচন অর্থবহ হবে না এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না।
বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত সংস্কার সম্পন্ন করতে আরও সময় প্রয়োজন হলে সেটি যৌক্তিক।” তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের ওপর জোর দেন।
দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, “নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে হলে সেটি অবশ্যই অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে।” তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণাকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন। তিনি মনে করেন, সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের পর আরও সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেওয়া সম্ভব হবে এবং এটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনবে।
বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ প্রধান উপদেষ্টার সময় নির্ধারণকে যৌক্তিক বলে মনে করেন। তিনি সংস্কার কার্যক্রমের গতি আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
সর্বোপরি, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণাকে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে তারা সংস্কার বাস্তবায়নের গতি বাড়ানো এবং একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক চরিত্র নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে।