বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ও তরুণ নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, দেশে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যমত অত্যন্ত জরুরি। তিনি আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিবাদী শক্তি আখ্যা দিয়ে তাদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করা যাবে না বলে মন্তব্য করেন। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
ইশরাক হোসেন তার পোস্টে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে গণতান্ত্রিক দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “যেই মতাদর্শ অন্যের অধিকারে বিশ্বাস করে না, তাদের কোনো অধিকার নেই গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করার।”
তিনি আরও বলেন, যারা গণতন্ত্রের নামে জনগণের অধিকার হরণ করে এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস করে, তাদের সঙ্গে নমনীয় হওয়া বা রাজনৈতিক পুনর্বাসনের চেষ্টা করা উচিত নয়। ফ্যাসিবাদ কীভাবে দেশের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে, তা সম্প্রতি আরও বেশি স্পষ্ট হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তার পোস্টে ইশরাক আওয়ামী লীগকে সরাসরি ফ্যাসিবাদী শক্তি আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিবাদ বলবো, আবার তাদের প্রতি নমনীয় হবো বা রাজনীতিতে পুনর্বাসন করতে চাইবো, তা চলতে পারে না।”
তার বক্তব্যে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও দেশের স্বার্থের পরিপন্থী কাজ করছে। এমনকি আওয়ামী লীগ স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলতে প্রস্তুত, এমন দাবিও করেন তিনি।
ইশরাক তার পোস্টে দেশের সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে দল, মত, ধর্ম নির্বিশেষে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা যেখানে যুদ্ধ করবে, তাদের সঙ্গে অগ্রিম একাত্মতা প্রকাশ করছি।”
তিনি তরুণ প্রজন্মসহ দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন এ ধরনের শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় এবং গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষায় ভূমিকা রাখে।
ইশরাকের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, তিনি আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই রাজনৈতিক পুনর্বাসন দেওয়ার বিপক্ষে। তার মতে, যারা অতীতে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, “কিঞ্চিৎ সুযোগ পেলেই ফ্যাসিবাদ কী করতে পারে, তা আমরা গত কয়েকদিনে স্পষ্টভাবে দেখেছি।”
ইশরাক হোসেনের এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তার ফেসবুক পোস্টে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণাত্মক মন্তব্য করার পাশাপাশি দল-মত নির্বিশেষে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানোর বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের জন্য তার আহ্বান কতটা কার্যকর হবে এবং এটি দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কী প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে তরুণ নেতার এই কণ্ঠ বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান আরও জোরালো করতে ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।