১৫ বছর পর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে সেনাকুঞ্জে যোগ দিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় সেনাকুঞ্জে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। সর্বশেষ ২০০৯ সালে খালেদা জিয়া এই আয়োজনে যোগ দিয়েছিলেন। দীর্ঘ বিরতির পর তার এই উপস্থিতি রাজনীতিতে নতুন আলোচনা তৈরি করেছে।
সেনাকুঞ্জে আমন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে এই আমন্ত্রণ জানানো হয়।
ওইদিন রাতে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএসএম কামরুল আহসান তার গুলশানের বাসভবনে আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।
বেগম খালেদা জিয়ার এই অনুষ্ঠানে যোগদানকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধাবোধ এবং দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার সঙ্গে তার উপস্থিতি অনুষ্ঠানের মর্যাদা বৃদ্ধি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, সেনাকুঞ্জে অংশগ্রহণের জন্য তিনি বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চিকিৎসাজনিত কারণেও তিনি দীর্ঘদিন জনসম্মুখে তেমন সক্রিয় ছিলেন না। ফলে তার এই উপস্থিতি দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি করেছে।
২০০৯ সালে সেনাকুঞ্জে অংশ নেওয়ার সময় খালেদা জিয়া তখনো সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। সেই সময়ের তুলনায় এখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও তার ব্যক্তিগত অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তবে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি তার যে আন্তরিকতা, তা সবসময়ই অটুট ছিল।
প্রতিবছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্যাপন করা হয়। এই দিবসটি বাংলাদেশ সেনা, নৌ, এবং বিমান বাহিনীর যৌথ অবদানকে স্মরণ করার একটি বিশেষ উপলক্ষ। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকেন।
সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক মহল থেকে শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়া হয়। এ বছর খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ এই আয়োজনকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
খালেদা জিয়ার সেনাকুঞ্জে যোগদানের খবরটি রাজনীতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ এটিকে তার সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রকাশ হিসেবে দেখছেন। অন্যদিকে, দীর্ঘ ১৫ বছর পর তার এই উপস্থিতি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বার্তা বহন করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।