বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান সম্প্রতি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন আন্দোলনের প্রথম ধাপ হিসেবে শুরু হয়েছে, তবে দ্বিতীয় ধাপ—একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন—এখনো বাকি রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন যে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দল বিশ্বাস করে জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত প্রতিনিধি দল দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ড. মঈন খান জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহত ছাত্র-জনতাকে আর্থিক সহযোগিতা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, “গত ৫ আগস্টের পর জনগণ এখন বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছে, স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে। এখন সময় এসেছে অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার।” ড. মঈন খান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের কর্মকাণ্ডে গণতন্ত্রের অভাব স্পষ্ট। তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেন যাতে আওয়ামী লীগের দোসররা ভবিষ্যতে আর ক্ষমতা দখল করতে না পারে।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার পতনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে যে কোনো জুলুমবাজ সরকার ক্ষমতায় বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না।” তিনি দাবি করেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছর ধরে বন্দুকের জোরে ১৮ কোটি মানুষকে বন্দি করে রেখেছিল এবং বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। অনেক নেতাকর্মীকে প্রাণ দিতে হয়েছে এবং অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এ সময় আহত রোগীদের খোঁজখবর নেন এবং ৫১ জন আহত রোগীকে আর্থিক সহায়তা দেন মঈন খান। তিনি বাংলাদেশের ডাক্তারদের চিকিৎসা সেবায় আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান এবং বলেন যে দেশের আহত ও আহতদের চিকিৎসার মানোন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ এবং মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালামসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।