রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সাংবাদিকতা সহায়ক ছিল: প্রেস সচিব

উপ-সম্পাদক

উপ-সম্পাদক

রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সাংবাদিকতা সহায়ক ছিল: প্রেস সচিব
 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে আয়োজিত 'ফ্যাসিবাদের বয়ান বনাম গণমানুষের গণমাধ্যম' শীর্ষক আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাংবাদিকতার প্রতি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করা হবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং রাষ্ট্রের স্বার্থে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করা হবে না। এ সময় তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সাংবাদিকতা স্বাধীনতা ও সহায়ক পরিবেশ উপভোগ করেছে এবং এ ধরনের পরিবেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠা জরুরি।
শফিকুল আলম আরও বলেন, "বাংলাদেশে সাংবাদিকতার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ প্রয়োজন, যাতে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে এবং জনগণের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠতে পারে। আমাদের লক্ষ্য যেন পুনরায় ফ্যাসিবাদ বা গণতন্ত্রের ক্ষতি না হয়, তাই আমাদের সবাইকে গণতন্ত্র সচেতন হতে হবে।"
অন্যদিকে, নিউ এইজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীর বলেন, দেশের গণমাধ্যমগুলো সবসময় সরকার ও রাষ্ট্রের দাসত্ব করে না। তিনি উল্লেখ করেন, “গণমাধ্যম থেকে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো জানতে পেরেছে। কিছু গণমাধ্যম স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ঝুঁকি নিয়ে সঠিক তথ্য তুলে ধরেছে, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রমাণ।” তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমে দায়িত্বশীল ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য। কারণ, গণতন্ত্রের ভিত মজবুত করতে এবং সাধারণ মানুষের অধিকারের সুরক্ষায় স্বাধীন সাংবাদিকতার ভূমিকা অমূল্য।
এই আলোচনা সভায় বিভিন্ন সাংবাদিক, লেখক, শিক্ষাবিদ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। তারা বাংলাদেশের বর্তমান গণমাধ্যম পরিস্থিতি এবং সরকারের সাথে তাদের সম্পর্ক নিয়ে মতবিনিময় করেন। আলোচকরা একমত হন যে, গণমাধ্যমে স্বাধীনতা থাকলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা এবং রাষ্ট্রের কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ হবে। বক্তারা উল্লেখ করেন, গণতন্ত্রের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিহার্য এবং সঠিক তথ্য প্রদান করা নাগরিকদের অধিকার।
বক্তারা বর্তমান রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে কিছু চ্যালেঞ্জের কথাও তুলে ধরেন। একাধিক বক্তা তাদের বক্তব্যে জানান যে, সাংবাদিকদের জন্য সরকারি বিভিন্ন আইন ও বিধিনিষেধ কখনও কখনও তাদের কাজের স্বাধীনতায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, ভবিষ্যতে গণমাধ্যমের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি হলে এর প্রভাব গণতন্ত্রের ওপর পড়তে পারে। ফলে জনগণ ও গণমাধ্যমকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যাতে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের ওপর স্বচ্ছতা বজায় থাকে।
শফিকুল আলম ও নুরুল কবীরের বক্তব্যের পরিসরে উঠে আসা বিভিন্ন বিষয় বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও প্রভাবকে নতুন আলোকে তুলে ধরে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই আলোচনা একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেছে।