রাজনীতি

বিএনপি-জামায়াতের ভেদাভেদ ভুলে যাওয়া উচিত : অলি আহমদ

উপ-সম্পাদক

উপ-সম্পাদক

রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪
বিএনপি-জামায়াতের ভেদাভেদ ভুলে যাওয়া উচিত : অলি আহমদ
ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম সম্প্রতি এক সেমিনারে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীকে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে, দেশের ১৮ কোটি মানুষের কল্যাণের জন্য এ দুটি দলের মধ্যে বিভেদ দূর করা উচিত এবং জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে দেশের সম্পদ রক্ষা করা জরুরি। অলি আহমদ মনে করেন, বর্তমান সরকার ও তাদের সমর্থকরা দেশের সম্পদ নষ্ট করছে, এবং এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।
অলি আহমদ আরো বলেন, সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতিপরায়ণ ও অব্যবস্থাপনা দেশের সাধারণ মানুষের জীবনে সংকট সৃষ্টি করেছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা দিন দিন কমছে, এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় জনগণ অসহায় হয়ে পড়েছে। তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম না কমালে জনগণের ধৈর্যচ্যুতি ঘটতে পারে, যা সরকারের পতন ডেকে আনতে পারে।
এই সেমিনারে তিনি সরকারকে কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বর্তমান সরকার দেশের স্বার্থ রক্ষার বদলে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির কাজে লিপ্ত রয়েছে। বিশেষ করে তিনি উল্লেখ করেন, সরকারের ‘হাসিনার লোটা বাহিনী’ এখনো কর্মক্ষম অবস্থায় রয়েছে, যা তিনি মনে করেন দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। অলি আহমদের মতে, সরকারকে এ বাহিনীকে চাকরিচ্যুত করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো উচিত ছিল, কিন্তু তা না করে তারা এখনো সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছে।
অলি আহমদের এই বক্তব্যের পাশাপাশি সেমিনারে অন্যান্য বক্তারাও দেশের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের মতামত প্রকাশ করেন। প্রফেসর ড. শেখ আকরাম আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল (অব.) মো. আইয়ুব, মেজর (অব.) ইমরান হোসেন, মেজর (অব.) মো. মাসুদ, এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। তাদের সবাই জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা এবং বর্তমান সরকারের নানা অপব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেন।
এই সেমিনারে বক্তারা জানান, দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় আন্দোলন গড়ে তোলা অপরিহার্য। তারা আরও বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এই বিভেদ ভুলে গিয়ে একযোগে কাজ করা দরকার। তাঁদের মতে, যদি বিরোধী দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারে, তবে তারা সরকারকে চাপে ফেলতে সক্ষম হবে এবং দেশের মানুষের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবে।
এভাবে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় ঐক্যের প্রস্তাবনা উঠে আসায় দেশের রাজনীতিতে নতুন এক দিকচিন্তার সূচনা হতে পারে।