বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে হাইকোর্ট, পাঁচ বছরের স্থগিতাদেশের পর এটি একটি বড় অগ্রগতি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক আরোপিত ২০১৯ সালের নিষেধাজ্ঞার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সোমবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৪, বুয়েট ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বির দায়ের করা একটি রিট পিটিশন থেকে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার আদালতের কর্তৃত্ব স্বীকার করে আদেশ মেনে চলার অঙ্গীকার করেন। তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা অনুসরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীকার তুলে ধরেন।
ছাত্র আবরার ফাহাদের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর ২০১৯ সালের অক্টোবরে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়। হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ ২০ জনের সাজা হয়।
এই রায় ছাত্র রাজনীতিতে ফেরার পথ সুগম করলেও আলোচনার জন্য সামনের পথ খোলা রয়েছে। ভাইস-চ্যান্সেলর ক্যাম্পাসে একটি সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং প্রশাসনের মধ্যে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
এই রায়ের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কী হতে পারে তা দেখার বিষয়। ছাত্র রাজনীতির প্রত্যাবর্তনের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করে উপাচার্য তার আপত্তি প্রকাশ করেন। তিনি প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি অনুসরণ না করে পরিবর্তন বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সীমাবদ্ধতার কথাও উল্লেখ করেন।
হাইকোর্টের সিদ্ধান্তটি বুয়েটের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন চিহ্নিত করে, যা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কার্যকলাপের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করবে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্র সংগঠন কীভাবে এই পরিবর্তনটি নেভিগেট করে তা আগামী মাসগুলোতে দেখার মত বিষয়।