পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনায় শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। সামরিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত একটি নাটক—যার পেছনে রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার ছায়া।
অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল মুস্তাফিজুর রহমান ও প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন এই ঘটনার পেছনে ডিজিএফআই ও এনএসআই-এর প্রত্যক্ষ ভূমিকার অভিযোগ তুলেছেন। তারা বলছেন, ভিডিও ধারণের স্টাইল, দ্রুত মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া ও একযোগে বিএনপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ—সবই ইঙ্গিত দেয় এটা ছিল “গ্র্যান্ড ডিজাইন”।
একই সময়ে খুলনায় যুবদলের এক সাবেক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হলেও সেটি নিয়ে কোনো আলোড়ন না তোলা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা।
ইলিয়াস হোসেন দাবি করেছেন, হত্যাকাণ্ডের পেছনে দলীয় কোন্দলের মোড়কে মূলত ছিল চাঁদাবাজি ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব, কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থা সেটিকে পরিকল্পিতভাবে বিএনপির ঘাড়ে চাপিয়েছে।
অন্যদিকে আলোচিত অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য্য বলেছেন, ডিজিএফআই বিএনপির বেপরোয়া অংশকে মাঠে নামিয়ে তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চক্রান্ত করছে।
এই সব তথ্য উঠে আসার পর প্রশ্ন উঠেছে—বাংলাদেশে রাজনীতি আর গোয়েন্দা সংস্থার খেলা কি একসাথে চলছে? বিএনপিকে ধ্বংস করার এই খেলায় কারা লাভবান হচ্ছে—ভারত নাকি অভ্যন্তরীণ কোনো ক্যাডার সিন্ডিকেট?