নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা:জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বলেছেন, আজ আমার দু’পাশে যারা রয়েছেন- তারা জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশের রাজনীতির দুই দিকপাল। পার্টির কো চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এবং সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। এই দুই নেতা জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছেন। পার্টির জন্য তারা জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছেন। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং আমার পাশে তারা সব সময়ই ছিলেন এবং এখনো আছেন।
রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলশানস্থ নিজ বাসভবনে আসন্ন দশম জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জাপা চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় পার্টি এখন চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এবং পার্টিকে আবার সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করে আগামী ৯ মার্চ দশম জাতীয় কাউন্সিল আয়োজনের ঘোষনা দিয়েছি। কাজী ফিরোজ রশীদ এবং সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ পার্টির প্রতিষ্ঠাকালীন নেতৃবৃন্দ এবং এরশাদ-ভক্ত সর্বস্তরের অগনিত নেতাকর্মী আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা সবাই মিলে সুন্দর একটি জাতীয় সম্মেলন উপহার দিয়ে জাতীয় পার্টিতে আবার প্রান শক্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। কারণ দেশ ও জাতির জন্য রাজনীতির অঙ্গনে জাতীয় পার্টির প্রয়োজনীয়তা এখন অপরিহার্য।
রওশন এরশাদ বলেন, আমরা দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক ভীত শক্তিশালী করার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছি। একটি রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্র চর্চার প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে- সময় মতো পার্টির জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠান। জাতীয় পার্টির সম্মেলন আয়োজনের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখন আমরা জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের যে ঘোষণা দিয়েছি-সেই সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য একটি সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেছি।
এসময় জাপা চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদকে আহবায়ক, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে কো আহবায়ক, গোলাম সরোয়ার মিলনকে যুগ্ম আহবায়ক, সফিকুল ইসলাম সেন্টুকে সদস্য সচিব এবং অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকে কোষাধ্যক্ষ করে দশম জাতীয় সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি ঘোষণা করেন।
রওশন এরশাদ বলেন, এছাড়া জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব, প্রেসিডিয়াম সদস্য, উপদেষ্টা, ভাইস চেয়ারম্যান, যগ্ম-মহাসচিব, সম্পাদকমন্ডলী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং জেলা কমিটির সভাপতি/আহবায়ক, সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিব- ক্রমানুসারে সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত থাকবেন।
পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ও দশম জাতীয় সম্মেলন আয়োজন প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, পার্টির মহাসচিব কাজী মামুনূর রশিদ ও ঢাকা মহানগর উত্তর জাপার আহবায়ক সফিকুল ইসলাম সেন্টু।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন পল্লীবন্ধুপুত্র রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গোলাম সরোয়ার মিলন, পার্টির মুখপাত্র ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, সাবেক মন্ত্রী নাজিমউদ্দিন আল আজাদ, সাবেক রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা রফিকুল হক হাফিজ, সাবেক এমপি এমএ গোফরান, অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, নূরুল ইসলাম মিলন,পার্টির উপদেষ্টা আমানত হোসেন আমানত, এমএ কুদ্দুস, ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নূরু, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক ছাত্রনেতা খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু, সাবেক এমপি ও ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া, কেন্দ্রীয় নেতা পীরজাদা জুবায়ের আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক খোরশেদ আলম খোশু, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসান আহমেদ জুয়েল, জহির উদ্দিন জহির, শাহীন আরা সুলতানা রিমা ও শাহনাজ পারভীন প্রমূখ।