রাজনীতি

বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় গেলে দেশে চাঁদাবাজি বাড়বে- মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম

নূর আলম রাজ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

নূর আলম রাজ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫
বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় গেলে দেশে চাঁদাবাজি বাড়বে- মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় গেলে দেশে চাঁদাবাজি আরও বৃদ্ধি পাবে, আওয়ামী লীগ ও ভারত বাইপাস রুটে পুনরায় প্রভাব বিস্তার করবে। তিনি অভিযোগ করেন, এর ফলে দেশের সম্পদ পাচার হবে এবং আরও মায়ের কোল খালি হবে।
সোমবার বিকেলে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতির নির্বাচন ও জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি মুফতি শহীদুল ইসলাম পলাশী
চরমোনাই পীর বলেন,
“৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ভোট নিয়ে দেশে সরকার গঠন হয়, অথচ ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ ভোটের কোনো মূল্যায়ন হয় না। পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে প্রতিটি ভোটের মূল্যায়ন হবে, দেশ ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্তি পাবে, গুন্ডামি ও চাঁদাবাজিও বন্ধ হবে।”
তিনি আরও বলেন,
“আমাদের দাবি ছিল মৌলিক সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার এবং পরে জাতীয় নির্বাচন। কিন্তু দৃশ্যমান বিচার বা সংস্কার কোনোটাই হয়নি। নরসিংদীতে এক পুলিশ কর্মকর্তা চাঁদাবাজি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় অপমানিত হয়েছেন। এ অবস্থায় নির্বাচন হলে গুন্ডাতন্ত্রের উত্থান হবে, চাঁদাবাজি বাড়বে, আরও মায়ের কোল খালি হবে।”
পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে মুফতি রেজাউল করীম বলেন,
“৫ আগস্টের পরও যখন সন্তানহারা মায়ের কান্না থামেনি, তখনও ওরা নেমেছিল চাঁদাবাজি ও স্টেশন দখলে। এই গুন্ডা ও চাঁদাবাজদের রুখতেই আমরা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই। পৃথিবীর ৯১টি দেশে এ পদ্ধতি চালু রয়েছে। যারা বলে ‘পিআর পদ্ধতি খায় না, মাথায় দেয়’, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।”
তিনি আরও বলেন, জনগণ এখন ইসলামের পক্ষে একটি শক্তি চায়। ইসলামি ও সমমনা দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে বৃহত্তর জাতীয় সমঝোতা গড়ে তোলাই এখন সময়ের দাবি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও মুহাম্মদ আবদুল মুছাব্বির, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নূর উদ্দিন, জামায়াতে ইসলামী সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আমির মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান, এবং খেলাফত মজলিস জেলা সাধারণ সম্পাদক হাফিজ জয়নুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশটি পরিচালনা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সোহেল আহমদ