দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।
দলটির মহাসচিব বলেন, নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করতে পারলে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন, দুর্নীতি ও অর্থপাচার রোধে কাজ করবে তার দল।
দেশের এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে। দেশে বিদ্যমান ৮টি বিভাগকে ৮টি প্রদেশে উন্নীত করা হবে। ৮টি প্রদেশের নাম হবে- (১) উত্তরবঙ্গ প্রদেশ (২) বরেণ্য প্রদেশ (৩) জাহাঙ্গীর নগর প্রদেশ (৪) জালালাবাদ প্রদেশ (৫) জাহানারাবাদ প্রদেশ (৬) চন্দ্ৰদীপ প্রদেশ (৭) ময়নামতি প্রদেশ এবং (৮) চট্টলা প্রদেশ।
এছাড়াও দেশের চলমান বাস্তবতায় কর্মসংস্থান, বিকেন্দ্রীকরণ, বিচারব্যবস্থা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের ঘোষণা রয়েছে জাপার নির্বাচনী ইশতেহারে।
গত ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণের চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়। এবার দলটি এককভাবে ২৮৭টি আসনে প্রার্থী দিলেও ২৬টি আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের সমঝোতা হয়েছে। তবে এরই মধ্যে ১৬টি আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।দলটির ইশতেহারে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন, দুর্নীতি ও অর্থপাচার রোধের মতো বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দেশের চলমান বাস্তবতায় কর্মসংস্থান, বিকেন্দ্রীকরণ, বিচারব্যবস্থা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মতো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি রয়েছে জাপার নির্বাচনি ইশতেহারে।
এবার জাতীয় পার্টির নির্বাচনি ইশতেহারে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে দুর্নীতি বন্ধের বিষয়টি। এছাড়া কর্মমুখী শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি ইশতেহারে গুরুত্ব পেয়েছে। উপজেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের কথাও বলা হয়েছে।
ক্ষমতায় গেলে নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে চায় দলটি। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জাপার ইশতেহারে। পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে এবারের ইশতেহারে।
জাপার ২৪ দফা ইশতেহারে রয়েছে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন, নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার, পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন, সুশাসনের বাংলাদেশ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মামলা জটের অবসান, শিক্ষিত/অশিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ, শিক্ষাপদ্ধতির সংশোধন, সন্ত্রাস দমন ও মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা, ইসলামের আদর্শ ও ধর্মীয় মূল্যবোধ, সর্বোচ্চ ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের কল্যাণ সাধন, খাদ্যনিরাপত্তা, নদী সংরক্ষণ ও ভাঙনরোধে ব্যবস্থা, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে স্থিতিশীলতা, শিল্প ও অর্থনীতির অগ্রগতি সাধন, ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণ, পররাষ্ট্রনীতিতে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, নারী সমাজের কল্যাণ সাধন, জলবায়ু পরিবর্তন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান-মুদ্রানীতি-রাজস্বনীতির সংস্কার, গুচ্ছগ্রাম পথকলি ট্রাস্ট পুনঃপ্রতিষ্ঠা, রেশনিং চালু, যোগাযোগ ব্যবস্থার সংস্কার ও অভিবাসন।