আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর সতর্কতা ও পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২১ মে) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নৌপরিবহন উপদেষ্টা জানান, ঈদের আগে তিন দিন ও পরে সাত দিন পর্যন্ত নৌপথে অতিরিক্ত ভাড়া ও ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় তিনি আরও জানান:
- ঈদের আগের ৩ দিন এবং পরের ৭ দিন সব ধরনের বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।
- প্রতিটি লঞ্চে ভাড়ার রেট চার্ট দৃশ্যমানভাবে প্রদর্শন বাধ্যতামূলক।
- সদরঘাটসহ বিভিন্ন ঘাটে ইজারাদারদের অতিরিক্ত চার্জ না নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ঈদের আগে ও পরে ৩ দিন ফেরি চলাচল করতে পারবে না; শুধুমাত্র পচনশীল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ট্রাক অনুমোদিত।
- উদ্ধারকারী জলযান প্রস্তুত রাখা হবে দুর্ঘটনার ঝুঁকি মোকাবিলায়।
- জেলা প্রশাসন পরিচালিত মোবাইল কোর্ট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে প্রতিটি দূরপাল্লার লঞ্চে (৪ জন করে)।
এছাড়াও, নৌ রুটে অপরাধপ্রবণ অঞ্চল যেমন শীতলক্ষ্যা, গজারিয়া ও মেঘনা নদীতে বিশেষ নজরদারি চালাবে কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও নৌবাহিনী।ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত সড়কে কোনো বাস দাঁড় করানো যাবে না — এই রুট ৩০ মে থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চলাচলও ২২ মে থেকে পুনরায় চালু হবে বলে সভায় জানানো হয়।সভায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ বিভিন্ন সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।