বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষটি ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাত সোয়া ৩টা থেকে শুরু হয়ে ভোর ৬টা পর্যন্ত চলতে থাকে। সংঘর্ষের কারণ ছিল ময়দান দখল নিয়ে সাদপন্থি ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে বিরোধ। ইজতেমা ময়দান তখন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, এবং উভয় পক্ষ একে অপরকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং পাল্টা হামলার মাধ্যমে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলার আমিনুল ইসলাম বাচ্চু (৭০), ঢাকার বেলাল হোসেন (৬০), এবং বগুড়া জেলার তাজুল ইসলাম (৭০) রয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে, যেমন খোরশেদ আলম (৫০), বেলাল (৩৪), আনোয়ার (৫০), আরিফুল ইসলাম (৫০) ইত্যাদি। আহতদের ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার সকাল ৮টায় টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনী অবস্থান নেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তারা ময়দানের ভেতর থেকে বেশ কয়েকজন জুবায়েরপন্থি সদস্যকে আটক করে।
এ সংঘর্ষে ময়দান থেকে বের হওয়ার পথে বেশ কয়েকটি মুসল্লিবাহী গাড়ি ভাঙচুরের শিকার হয়, যার ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।